প্রকাশিত : সোমবার, ৮ মে ২০২৩

Share This News

মিশরে ২০০০ বছর পুরনো ভেড়ার মাথার মমি আবিষ্কার

মিশরে ২০০০ বছর পুরনো ভেড়ার মাথার মমি আবিষ্কার

মিশরে প্রায় ২ হাজার বছর পুরনো একটি ভেড়ার মাথার মমি আবিষ্কার হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদরা গত  শনিবার জানিয়েছেন, দক্ষিণ মিশরের প্রাচীন শহর অ্যাবিডোসে দ্বিতীয় রামসেস-এর মন্দিরে টলেমাইক যুগের এই মাথা আবিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়াও বিশাল একটি প্রাসাদের কাঠামোও আবিষ্কৃত হয়েছে।

ওই মন্দিরে ভেড়ার মাথার সঙ্গে মমি করা কুকুর, বুনো ছাগল, গরু, হরিন এবং বেজির মাথাও পাওয়া গেছে। দেশটির পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলেছে, দ্বিতীয় রামসেস মারা যাওয়ার ১০০০ বছর পর তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এই মাথাগুলো আনা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

দ্বিতীয় রামসেস ‘মহান রামসেস’ হিসেবেও পরিচিত। মিশরের উনবিংশতম রাজবংশের তৃতীয় ফারাও রাজা ছিলেন তিনি। প্রায়শই তাকে মিশরীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে মহান, সবচেয়ে উদযাপিত ও সবচেয়ে শক্তিশালী ফারাও হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, আবিষ্কারগুলো থেকে টলেমাইক সময়কাল নিয়ে নানা তথ্য জানা যাবে। টলেমাইক রাজবংশ, যাকে কখনও কখনও ল্যাগিড রাজবংশ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। টলেমীয় রাজ্য ছিল মিশরের একটি প্রাচীন হেলেনীয় রাজ্য। খ্রিস্টপূর্ব ৩০৫ অব্দে আলেকজান্ডারের সঙ্গী প্রথম টলেমি সোটার এই রাজ্যটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং খ্রিস্টপূর্ব ৩০ অব্দে ক্লিওপেট্রার মৃত্যু পর্যন্ত এই রাজ্যটির অস্তিত্ব বজায় ছিল। প্রায় তিন শতাব্দীকাল রাজত্বকারী টলেমীয় রাজবংশ ছিল দীর্ঘতম ও সর্বশেষ প্রাচীন রাজবংশ।

কায়রো থেকে প্রায় ২৭০ মাইল (৪৩৫ কিমি) দক্ষিণে অবস্থিত আবিডোস শহর।  মিশরের অন্যতম প্রধান এবং কম পরিদর্শন করা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এটি। এটি একটি প্রাচীন মিশরীয় রাজপরিবারের জন্য বড় ও নকশা করা কবরস্থান। যেখানে বিস্তৃত সমাধির স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে এবং দেবতা ওসিরিসের উপাসনার জন্য তীর্থস্থান ছিল।

খনন কাজটি করেছে নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ দ্য অ্যানসিয়েন্ট ওয়ার্ল্ড। মমিকৃত প্রাণীর দেহাবশেষ এর পাশাপাশি পুরানো রাজ্যে ষষ্ঠ রাজবংশের প্রায় পাঁচ মিটার পুরু দেয়াল সহ একটি বিশাল প্রাসাদের কাঠামো আবিষ্কৃত হয়েছে। এছাড়াও বেশ কয়েকটি মূর্তি, প্যাপিরাস (পুরু কাগজের অনুরূপ একটি উপাদান যা প্রাচীন কালে লেখার জন্য ব্যবহৃত হত), প্রাচীন গাছের দেহাবশেষ, চামড়ার পোশাক এবং জুতা রয়েছে।