প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১১ জুলাই ২০২৩

Share This News

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির সভায় ঘুষাঘুষি

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির সভায় ঘুষাঘুষি

 

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি কমিটির সভায় ঘুষাঘুষি, চেয়ার ও পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গত রোববার ২ জুলাই সোসাইটির কার্য নির্বাহী কমিটির সভায় এ ঘটনা ঘটে। সভাপতি আব্দুর রব মিয়া ও সাধারন সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকী প্রানপন চেষ্টা করেও সংঘর্ষে লিপ্ত কর্মকর্তাদের নিবৃত্ত করতে পারেন নি। প্রথমে ঘুষাঘুষি শুরু হয় সোসাইটির সিনিয়র সহ সভাপতি মহিউদ্দীন দেওয়ান ও কোষাধ্যক্ষ নওশেদ হোসেনের মধ্যে। এক পর্যায়ে মহিউদ্দীন দেওয়ান চেয়ার নিক্ষেপ করেন। এতে আহত হন নওশেদ হোসেন। তার সর্মথকরা চড়াও হন মহিউদ্দীনের ওপর। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে চেয়ার এসে সহ সভাপতি ফারুক চৌধুরীর গায়েও লাগে। ক্রিড়া সম্পাদক মইনুল উদ্দীন মাহবুব ক্ষুব্ধ মহিউদ্দীনকে জড়িয়ে ধরেও থামাতে পারছিলেন না। তবে মহিউদ্দীনের একজন সর্মথক বলেন, তাকে জড়িয়ে ধরার সুযোগে নওশেদ মহিউদ্দীনকে আঘাত করার সুযোগ পায়। বোতল নিক্ষেপে আহত হন সহ সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। ভয়ে ফারহানা চৌধুরী অন্য রুমে গিয়ে আশ্রয় নেন। কর্মকর্তারা একে অপরের বিরুদ্ধে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একজন অপরজনকে বলেন, সোসাইটির অফিসে বাইরে আয়। খেলা হবে। মারামারি শেষে সভাপতি উভয় পক্ষকে মিলিয়ে দেন। এক পর্যায়ে মহিউদ্দীন দেওয়ান সভা ত্যাগ করে চলে যান। কার্যকরি কমিটির সভা শেষে নবগঠিত ট্রাষ্টি বোর্ডের সদস্যদের পরিচয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

এরমধ্যে আঘাতপ্রাপ্ত নওশেদের আঙ্গুল ফুলে কালো হয়ে যায়। তিনি ৯১১ কল করেন। ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করেছেন। এম্বুলেন্সের ভেতরে তার আঙ্গুলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

সোসাইটিতে সংঘাতের ব্যাপারে সভাপতি আব্দুর রব মিয়া বলেন, অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটেছে। নিন্দা জানানোর ভাষা আমার নেই। তবে আমি ও সাধারন সম্পাদক আপ্রান চেষ্টা করেছি পরিবেশ শান্ত রাখতে। শেষে মহিউদ্দীন দেওয়ান ও নওশেদকে মিলিয়ে দিয়েছি। বৈঠক শেষ হবার পর আমি, রুহুল আমিন সিদ্দিকী ও ফারুক চৌধুরী চলে আসি। পরে জানতে পেরেছি নওশেদ তার আহত হবার বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেছে।

এদিকে একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, ট্রাষ্টি বোর্ডের ১২ জনের মধ্যে ১১ জন ইতোমধ্যেই নির্বাচিত হয়েছেন। একটি পোষ্টের নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই সংঘাতের সুত্রপাত। কমিউিনিটির এক বড় ভাইকে ট্রাস্টিবোর্ডে রাখা ও ভোট নিয়েই নাকি এই সংঘাতের সুত্রপাত হয়েছিল। নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির ইতিহাসে সৃষ্টি হলো কলংকজনক অধ্যায়ের।