প্রকাশিত : শুক্রবার, ৪ আগস্ট ২০২৩

Share This News

বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যালে জেমস উন্মাদনায় মেতেছিল আমেরিকানরাও

বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যালে জেমস উন্মাদনায় মেতেছিল আমেরিকানরাও

২২তম নর্থ আমেরিকা বাংলাদেশি ফেস্টিভ্যালে জেমস উন্মাদনায় মেতেছিল আমেরিকানরাও। ৩ দিনব্যাপি এই ফেস্টিভ্যাল’র শেষদিন ছিল গত রবিবার (৩০ জুলাই)। দুপুর থেকেই দর্শক- শ্রোতা আসতে থাকেন মেলা প্রাঙ্গণে। একটা সময় বাংলাদেশ এ্যভিনিউ খ্যাত কনান্ট- ডেভিসন রোডের ট্রাফিক ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। 

এ দিন নগর বাউল জেমসের গিটারের সুর ও গানে মেতে উঠেন মিশিগানে বসবাবাসরত নতুন প্রজন্মের আমেরিকানসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দর্শক ও শ্রোতাদের বাধভাঙ্গা উল্লাসে প্রায় ২০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ডেট্রয়েট সিটির বাংলা টাউন খ্যাত জেইন ফিল্ডের মেলা প্রাঙ্গণ। রাত ১০ টায় স্টেজে ওঠেন গামছা পরিহিত বাবড়ি দোলানো চুলের বাহারে সজ্জিত জেমস।

জেমসের মিশিগান আগমনে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশিদের মধ্যে ছিল উন্মাদনা। জেমসের আমেরিকা সফরের সময় কয়েকটি কনসার্ট হলেও মিশিগানেই হলো সর্বশেষ এবং উন্মুক্ত কনসার্ট। এই কনসার্টে মিশিগান ছাড়াও ওহাইও, শিকাগো ( ইলিনয়স),নিউজার্সি এবং কানাডা থেকে হাজারো বাংলাদেশি জড়ো হন প্রিয় শিল্পীর গান শুনতে।

মেলার শেষ দিনে পারফর্ম করেন আরেক তারকা রিজিয়া পারভিন। নিজেদের এক এক গান পরিবেশনায় দর্শকরা নেচে গেয়ে আনন্দে মাতেন। পৃথা দেব, রিয়া রহমান, প্রেমা রহমান, শফি'র গানে মাতোয়ারা ছিলেন কয়েক হাজার দর্শক। এমনকি মিশিগানের স্থানীয় শিল্পী এ আর রহমানের গান ছিল অনবদ্য।

বাঙালির প্রাণের এ মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি মালিকাধীন একমাত্র ইউনিভার্সিটি ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি’র চ্যান্সেলর আবু বকর হানিপ। তিনি বহুজাতিক এ সমাজে বাঙালি সংস্কৃতির ফল্গুধারা প্রবাহিত রাখতে এ ধরনের আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মন্তব্য করেন। 

ডেট্রয়েট সিটি কাউন্সিলর স্কাট বেনসন, বেপাক এর সভাপতি এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এহসান তাকবিম ববিসহ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দও এ সময় বক্তব্য রাখেন। মেলায় সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয় চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপকে। পিপুলএনটেকের সেই কর্মকান্ডের ধারাবাহিকতায় নিজ মালিকানাধীন ইউনিভার্সিটির মাধ্যমেও কম্যুনিটির পাশে দাঁড়িয়েছেন চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ। এজন্য সকলে বিপুল করতালিতে তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। 

মেলায় ছিল দেশীয় কাপড়ের দোকান এবং খাবারের স্টল। দর্শকদের প্রত্যাশা প্রতিবছরই যেন এমন আয়োজন হয়। আয়োজক আকিকুল হক শামীম, এসএনএস হোম লোনের কর্ণধার নাসির সবুজ, খালেদ আহমদ,সাকের উদ্দিন সাদেকসহ কমিটির সকল সদস্যকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এমনকি আয়োজকরাও ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ২৩ তম মেলাটি হবে আরো জাঁকজমকপূর্ণ এবং আকর্ষণীয়।