প্রকাশিত : বুধবার, ৯ আগস্ট ২০২৩

Share This News

ডেঙ্গুতে একদিনে  আরো ১২ প্রাণহানি, রেকর্ড ২৮৪৪ রোগী ভর্তি

ডেঙ্গুতে একদিনে আরো ১২ প্রাণহানি, রেকর্ড ২৮৪৪ রোগী ভর্তি

দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও অবনতি হচ্ছে। দীর্ঘ হচ্ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল। একদিনে আরও ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আগস্টে মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫২ জনে। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যুতে পুরানো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ২ হাজার ৮৪৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৃত ৩৫২ জনের মধ্যে নারী ১৯৯ জন এবং পুরুষ ১৫৩ জন । মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৭৬ জন এবং রাজধানীতে ২৭৬ জন। 

আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৮৪৪ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ হাজার ৯২ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৭৫২ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ৮৪৪ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪২৭ জনে।

ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৪২১ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৬ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ৪৭ হাজার ৩৫১ জন এবং নারী ২৭ হাজার ৭১৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৫ হাজার ২৯০ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টের ৯ দিনে ২৩ হাজার ২৩৭ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ১০১ জনের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই।