প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩

Share This News

ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড ২৯৫৯ রোগী ভর্তি, মৃত্যু আরো ১২

ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড ২৯৫৯ রোগী ভর্তি, মৃত্যু আরো ১২

দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। আক্রান্তে প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। দীর্ঘ হচ্ছে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর মিছিল। প্রতি ৩০ সেকেন্ডে একজনের বেশি রোগী আসছেন হাসপাতালে। একদিনে আরও ১২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আগস্টে মৃত্যুর সংখ্যা ১১৩ জন । চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৪ জনে। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যুতে পুরানো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ২ হাজার ৯৫৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। মৃত ৩৬৪ জনের মধ্যে নারী ২০৪ জন এবং পুরুষ ১৬০ জন।

মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৮১ জন এবং রাজধানীতে ২৮৩ জন। 

আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৯৫৯ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১ হাজার ৯৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ৮৬২ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ৯৫৯ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৭৯০ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৪ হাজার ৪৬০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ৩৩০ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ৭৮ হাজার ২৮ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ৪৯ হাজার ১৩৬ জন এবং নারী ২৮ হাজার ৮৯২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৭ হাজার ৮৭৪ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টের ১০ দিনে ২৬ হাজার ১৯৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ১১৩ জনের। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে নেই।