প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৩

Share This News

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ভারত ও ভিয়েতনামের মতো অনেক সম্ভাবনাময়

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ভারত ও ভিয়েতনামের মতো অনেক সম্ভাবনাময়

বিভিন্ন কারণে দেশের শেয়ারবাজার বর্তমানে নাজুক সময় পার করলেও এই বাজার নিয়ে দারুণ আশাবাদী বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি হোল্ডিংস পিএলসি।

সংস্থাটি মনে করছে, দুই দশক আগে ভারতে এবং এক দশক আগে ভিয়েতনামের শেয়ারবাজারে আর্নিংসে প্রবৃদ্ধির কারণে যেমন আকর্ষণীয় মূলধনী মুনাফা হয়েছিল, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারেরও তেমন সম্ভাবনা রয়েছে।

এইচএসবিসি হোল্ডিংস পিএলসির দুজন কর্মকর্তা হ্যারাল্ড ভ্যান ডার লিন্ডে ও প্রেরনা গার্গের নোটে আশা প্রকাশ করা হয়েছে, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে আগামী ৩ বছরে আর্নিংসে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে। বুধবার (১৬ আগস্ট) তারা এই সংক্রান্ত একটি নোট লিখেছেন।

শেয়ারবাজার আন্তর্জাতিক ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়, এইচএসবিসির এই আশবাদী ভবিষ্যৎবাণী বাংলাদেশের মতো একটি ফ্রন্টিয়ার মার্কেটের সম্ভাবনাকেই তুলে ধরছে।

ব্লুমবার্গ বলছে, বাংলাদেশ যে গতিততে এগুচ্ছে, তাতে ২০৩০ সাল নাগাদ এটি অন্যতম বড় একটি ভোক্তা-বাজারে পরিণত হবে। মাথাপিছু দৈনিক ২০ ডলার আয় নিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠির এই দেশের বাজার ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে যাবে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফের পূর্বাভাস অনুসারে, পরবর্তী ৫ বছরে গড় ৭ শতাংশ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে বাংলাদেশে। এটি হবে এশিয়ার দ্রুততম প্রসারিত অর্থনীতিগুলোর অন্যতম। গত এক দশকে এই দেশের জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশের বেশি। মাথাপিছু জিডিপি বিবেচনায় বাংলাদেশ ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। এবং এর মাথাপিছু জিডিপি সম্প্রতি ভারতের ছাড়িয়ে গেছে।

আইএমএফ বলছে, বাংলাদেশ সম্প্রতি তার মুদ্রাকে অবাধ বাণিজ্যের উপযোগী করেছে। চালু করেছে বৈদেশিক মুদ্রা অভিন্ন বিনিময় হার। এতে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনে স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা বেড়েছে। বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আইএমএফ থেকে ৪.৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের চুক্তি করেছে, যার প্রথম কিস্তি ইতোমধ্যে বিতরণ হয়েছে।