প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৩

Share This News

গাজীপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণ: কোচিং সেন্টারের পরিচালক গ্রেপ্তার

গাজীপুরে ছাত্রীকে ধর্ষণ: কোচিং সেন্টারের পরিচালক গ্রেপ্তার

গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ি এলাকায় কোচিং সেন্টারের স্কুল ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

একবার ধর্ষনের ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আবারো ধর্ষন করেছে ওই শিক্ষক। ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ কোচিং শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছেন।

তাকে বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত কোচিং শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন সাগর (৩০) রংপুরের পীরগাছা থানার শরীফ সুন্দর বাজার এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে। তিনি কোনাবাড়ী সেলিম নগর এলাকায় মা শিক্ষা নিকেতন কোচিং সেন্টারের শিক্ষক ও পরিচালক।

মামলার এজাহার ও পুলিশ জানায়, স্কুল শিক্ষার্থী ২০২১ সালে এসএসসি পরিক্ষার্থী থাকায় ওই বছরের ১ জানুয়ারি কোনাবাড়ী সেলিম নগর এলাকায় মা শিক্ষা নিকেতন কোচিং সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে কোচিং করা অবস্থায় ওই বছরের ১৯ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৬ টায় ক্লাস করতে গেলে কোচিং সেন্টারের পরিচালক ও শিক্ষক দোলোয়ার হোসেন তাকে অফিস কক্ষে ডেকে নেয়।

এসময়ে কোচিং সেন্টারের অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে তার অফিস কক্ষে ওই ছাত্রীকে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে এবং ধর্ষনের দৃশ্য ভিডিও ধারন করে রাখে। পরে তাকে ভয় দেখানো হয়, কাউকে জানালে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীও ভয়ে কাউকে জানায়নি। ওই ছাত্রী চলতি বছরের ৩ মে শিক্ষকের কাছে গিয়ে ভিডিও মুছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। এই সুযোগে ওই দিন আবারো অফিস কক্ষে জোড়পূর্বক ধর্ষন করে। পরবর্তীতে গত ২৮ জুলাই শিক্ষক দেলোয়ার ছাত্রীকে ফোন করে জরুরী ভিত্তিতে তার অফিসে ডেকে নেয় এবং তাকে তার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশার প্রাস্তাব দিলে সে রাজি না হয়ে কৌশলে কোচিং সেন্টার থেকে পালিয়ে আসে। গত মঙ্গলবার বাড়িতে ছাত্রীর রুমে কন্নাকাটি করছিল এসময়ে তার মা কারণ জিজ্ঞেস করলে সে ঘটনাগুলি জানায়। পরে ওইদিনই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে কোনাবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।

কোনাবাড়ি থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, স্কুল শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে বুধবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।