প্রায় দ্বিগুণ মৃত্যু ঝুঁকিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েরা। তাই জ্বর হলেই দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
৯ মাসের গর্ভবতী রুমা বিশ্বাস। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যান গেলেন ২৭ জুলাই। এর দুদিন আগে মারা যান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এস এম নাজিয়া সুলতানা। তিনি ছিলেন ৮ মাসের গর্ভবতী। সারাদেশে ডেঙ্গু কেড়ে নিচ্ছে এমন অনেক সন্তান সম্ভবা মায়ের প্রাণ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার- দুটোই গত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
মহিলা ওয়ার্ডগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। সেবা পেতে সময় লাগছে খোদ রাজধানীর হাসতালগুলোতেই।
গর্ভকালীন অবস্থায় প্রাকৃতিকভাবেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় এ সময় ডেঙ্গু হেমোরেজিক ও শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি বলেও জানান চিকিৎসকরা।
“শেষ মুহূর্তে যারা চিকিৎশা নিতে আসছে তাদের বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। তাই জ্বর এলেই পরীক্ষা করাতে হবে, সচেতন হবে।” জানান ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক আয়েশা শিল্পী।
কিন্তু মৃত্যুর এই উচ্চ হারের কারণ সম্পর্কে জাতীয় পর্যায়ে কোনো গবেষণা নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বর এলেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে হবে। অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ তাঁদের।