প্রকাশিত : বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Share This News

ক্লাস্টার বোমায় ইউক্রেনে গত বছরে হতাহত ৯০০

ক্লাস্টার বোমায় ইউক্রেনে গত বছরে হতাহত ৯০০

ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের পর এক বছরে ক্লাস্টার বোমার আঘাতে হতাহতের সংখ্যা ৯ শতাধিক। ২০২২ সালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ক্লাস্টার মিউনিশন কোয়ালিশন (সিএমসি) নামের একটি সংস্থা। মঙ্গলবার প্রকাশিত সিএমসির বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকেই ব্যাপকভাবে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করছে রাশিয়া। পুরোনো ও নতুন উদ্ভাবিত অস্ত্র দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ  চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনও এই ধরনের বোমা ব্যবহার করছে, তবে তা  রাশিয়ার চেয়ে পরিমাণে অনেক কম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক বছর ক্লাস্টার বোমায় হতাহতের কোনো তথ্য না থাকলেও ইউক্রেনে গত বছর প্রায় ৯১৬ জন নিহত বা আহতের কথা নথিভুক্ত করেছে। হতাহতদের বেশির ভাগ বেসামরিক নাগরিক। ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিশ্বজুড়ে ক্লাস্টার বোমায় হতাহতের সংখ্যা হয়েছে ১ হাজার ১৭২ জন। ২০১০ সালে সিএমসি প্রতিবেদন প্রকাশ শুরুর পর থেকে এটিই এক বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

ক্লাস্টার বোমা নিক্ষেপের পর বাতাসে উন্মুক্ত হয় এবং বিস্তৃত এলাকা জুড়ে ছোট ছোট ‘বোমা’ ছিটিয়ে দেয়। বোমাগুলো একই সময়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে, যেমন—ট্যাংক ও সামরিক সরঞ্জাম। কিন্তু এগুলো দীর্ঘদিন সক্রিয় অবস্থায় বিদ্যমান থাকে। ফলে যুদ্ধ বা সংঘাত শেষ হলেও বেসামরিক হতাহতের ঝুঁকি থাকে। আন্তর্জাতিক আইনে ক্লাস্টার বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ  নয়। তবে এটি নিষিদ্ধ করার একটি কনভেনশনে ১২০টিরও বেশি দেশ যোগ দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউক্রেন এতে স্বাক্ষর করেনি।

রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণে অগ্রসরের দাবি করছে ইউক্রেন, অন্যদিকে এই অভিযানকে আবারও ব্যর্থ বললেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্প্রতি পূর্বাঞ্চলের দোনেস্কের বাখমুত শহরের চারপাশে বড় ধরনের অগ্রগতির দাবি করেছে। পাশপাশি আরো কয়েক দিকে রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে জেলেনস্কির বাহিনীর। এ পরিস্থিতিতে ভেস্তে যাওয়া শস্যচুক্তি পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার সোচিতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাত্ হয়েছে পুতিনের। সংবাদ সম্মেলনে রণাঙ্গনে ইউক্রেনের অগ্রগতির খবর নাকচ করে দিয়েছেন পুতিন। 

প্রেসিডেন্ট পুতিনকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় নিউজ এজেন্সি তাস জানিয়েছে, পালটা আক্রমণ ব্যর্থ, কিন্তু থেমে যায়নি। এভাবেই চলবে। রুশ নেতা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ইউক্রেনে মস্কো নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে রুশ প্রতিরক্ষা অবস্থানের বিরুদ্ধে কোনো অগ্রগতি লাভ করতে পারেনি তারা। তবে ফ্রন্ট লাইনের বাস্তবতটা ভিন্ন বলছেন রাশিয়ার একাধিক সামরিক ব্লগার এবং আন্তর্জাতিক সামরিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, ইউক্রেনে লড়াইয়ে গোলাবারুদ, অস্ত্র ও খাদ্যসংকটে ভুগছে রুশ বাহিনী।