প্রকাশিত : বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Share This News

ডেঙ্গুতে আরো ১৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি ২১১৫

ডেঙ্গুতে আরো ১৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি ২১১৫

দেশে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। ঢাকার বাইরে এখন ডেঙ্গুর দাপট বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৭১ জনে। এর মধ্যে নারী ৩৮৮  জন এবং পুরুষ ২৮৩ জন মারা গেছেন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ১৮৫ জন এবং রাজধানীতে ৪৮৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১১৫ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আজ সারা দেশের পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ১১৫ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮৩৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ২৮২ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২ হাজার ১১৫ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার  ১২৭ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৯৪৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫ হাজার ১৮১ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার ২২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এর মধ্যে রাজধানীতে ৬৩ হাজার ২৭৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ৭৪ হাজার ৭৪৯ জন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ৮৫ হাজার ৪৪২ জন এবং নারী ৫২ হাজার ৫৮০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ২২৪ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাই মাসে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্ট  শনাক্ত ৭১ হাজার ৯৭৬ জন এবং মৃত্যু ৩৪২  জন। সেপ্টেম্বরের ৬ দিনে শনাক্ত ১৪ হাজার ২১৪ জন  এবং মারা গেছেন ৭৮ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।