প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

Share This News

জেমিনি সী ফুডের অস্বাভাবিক দর ও লেনদেন তদন্তের নির্দেশ

জেমিনি সী ফুডের অস্বাভাবিক দর ও লেনদেন তদন্তের নির্দেশ

এশিয়া ডেইলি নিউজ ডেস্ক: অবশেষে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি জেমিনি সী ফুডের অস্বাভাবিক শেয়ারদর ও লেনদেন তদন্ত করার নির্দেশে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সাম্প্রতিককালে কোম্পানিটির অস্বাভাবিক শেয়ারদর ও লেনদেন কারসাজি বলে মনে করছে বিএসইসি। যে কারণে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর ও লেনদেন তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। আগামী ২০ কর্মদিবসের মধ্যে ডিএসইকে কোম্পানিটির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে জেমিনি সি ফুডের শেয়ারের দাম ও লেনদেন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে যে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারদর গত ২৮ মার্চ থেকে ৭ মে পর্যন্ত ৪৫৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৯৩৪ টাকা ৪০ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। ফলে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১০৪.৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে শেয়ারদর বৃদ্ধিকে অস্বাভাবিক এবং কারসাজি বলে মনে করছে কমিশন। তাই এই বিষয়ে গত ১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী সময়ে জেমিনি সি ফুডের শেয়ারের লেনদেন তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, এর আগে কোম্পানির শেয়ারে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় কারসাজির মাধ্যমে প্রায় ৪৫০ টাকা বা ৩১১ শতাংশ বা সাড়ে ৩ গুণ বৃদ্ধি করা হয়। এতে বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি। পরে তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগের কাছে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও কোম্পানিটির শেয়ারদর উল্লম্ফন থেমে নেই।

জানা গেছে, কোম্পানিটির শেয়ারদর ও লেনদেনে কারসাজির চেষ্টা, ইনসাইডার ট্রেডিং এবং অন্যান্য কার্যকলাপ তদন্তে গত বছরের ২৫ অক্টোবর দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে বিএসইসি। কমিটিকে আদেশ জারির আগামী ২০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ রকিবুর রহমান ও সহকারী পরিচালক ফয়সাল ইসলাম। সেই তদন্ত শেষে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে কমিটি এবং বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বিএসইসির এনফোর্সমেন্ট বিভাগে কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জেমিনি সী ফুডের পরিশোধিত মূলধন ৬ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৬১ লাখ ৫ হাজার ২০৬টি। এরমধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩০.০১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪.৬৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.৩৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৪.৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন‌্য ৪০ শতাংশ ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ ক্যাশ ও ৩০ শতাংশ বোনাস। আগের বছর ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ৫ শতাংশ ক্যাশ। তার আগের বছর ‘নো ডিভিডেন্ড’ দিয়েছিল।