প্রকাশিত : রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Share This News

বিদায়ী প্রধান বিচারপতির কড়া সমালোচনায় শেহবাজ শরীফ

বিদায়ী প্রধান বিচারপতির কড়া সমালোচনায় শেহবাজ শরীফ

পাকিস্তানে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের কড়া সমালোচনা করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। বলেছেন, তিনি যেসব সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তাতে সুবিধা পেয়েছেন ইমরান খান। অন্যদিকে ২১শে অক্টোবরেই পাকিস্তান ফিরবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। এ কথা নিশ্চিত করেছেন তার ছোটভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এক্ষেত্রে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল যে রায় দিয়েছেন শনিবার তার কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন শেহবাজ। প্রধান বিচারপতি তার রায়ে বলেছেন, জাতীয় জবাবদিহিতা বিষয়ক ব্যুরো এনএবি’র যে সংশোধনী এনে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত শীর্ষ নেতাদের বিচার বন্ধ রাখা হয়েছে, সেই সংশোধনী বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণির প্রায় সব রাজনীতিকের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর কথা। কিন্তু শেহবাজ বলেছেন, এনএবির সংশোধনীর সঙ্গে নওয়াজের মামলার কোনো যোগসূত্র নেই।

লন্ডনে নওয়াজ শরীফ, সুলেমান শরীফ, আইনজীবী আযম নাজির তারার, আমজাদ পারভেজ এবং আতাউল্লাহ তারারের সঙ্গে আইনি বিষয় নিয়ে আলোচনা শেষে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন শেহবাজ। তিনি বলেন, নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে যে মামলা আছে তা মিথ্যা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে করা এবং সেই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

তার ভাষায়, এ মামলার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এনএবি আইনের আওতায় তিনি ছিলেন না। আগামী ২১ শে অক্টোবর তিনি পাকিস্তান ফিরবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বিদায়ী প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, তিনি বিতর্কিত ও রাজনৈতিক অনেক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। 

তাতে সুবিধা পেয়েছেন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি শুধু পিটিআইকে সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্য দিয়ে শপথ ভঙ্গ করেছেন। সুপ্রিম কোর্টে ২-১ সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়কে নিন্দনীয় বলে অভিহিত করেন শেহবাজ শরীফ। বলেন, প্রধান বিচারপতি একটি কালো আইনকে প্রতিস্থাপন করেছেন।

শেহবাজ শরীফ প্রশ্ন রাখেন যখন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্দেশের মাধ্যমে এনএবি আইন পরিবর্তন করেছিলেন ইমরান খান তখন কোথায় ছিলেন বান্দিয়াল? কেন তিনি ওই সময়ে এমন ভূমিকা রাখেননি? ওই অর্ডিন্যান্স চার মাস স্থায়ী হয়েছিল এবং তাতে ইমরান খানকে যারা সুবিধা দিয়েছে, তারা সুবিধা পেয়েছে। শেহবাজ শরীফ আরও বলেন, একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পাকিস্তানের ক্ষতি করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইমরান খানকে ক্ষমতায় আনা হয়েছিল। পাকিস্তান যে অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন করছিল, তা থামিয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যদি আবারও পরিষ্কার ম্যান্ডেট দেয়া হয় তাহলে নওয়াজ শরীফ পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ২০১৭ সালের অবস্থায় নিয়ে যাবেন।