প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Share This News

রাশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরছেন কিম

রাশিয়া সফর শেষে দেশে ফিরছেন কিম

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়ার সুদূর পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভোস্তকে একটি বিরতি দেওয়ার পর নিজ দেশে ফিরে গেছেন। ভ্লাদিভোস্তকে তিনি একটি বিশ্ববিদ্যালয়, একটি অ্যাকোয়ারিয়াম এবং পশুখাদ্যের কারখানা পরিদর্শন করেছিলেন। সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া কেসিএনএ এই খবর জানিয়েছে। আর্টিওম স্টেশনে তার বিদায় অনুষ্ঠান হয়।

বিদায় অনুষ্ঠানে বিদায় জানানোর আগে সামরিক, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করার জন্য কিম ভ্লাদিভস্তকে দুই দিন কাটিয়েছেন বলে কেসিএনএ জানিয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যয়নরত উত্তর কোরিয়ার শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও দেখা করেন। একসঙ্গে ছবিও তুলছেন। সাঁজোয়া ট্রেনে ফিরতি যাত্রা শুরু করেন কিম।

কেসিএন আরো বলেছে, ‘এই সফরটি দুই দেশের মধ্যে ভালো প্রতিবেশী সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করার একটি সুযোগ হিসেবে কাজ করবে, যা বন্ধুত্ব ও সামরিক ঐক্যে নিহিত এবং সম্পর্কের উন্নয়নে একটি নতুন অধ্যায় খুলবে।’

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় রেডিও ‘ভয়েস অফ কোরিয়া’ সোমবার কিমের সফরের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলেছে, এই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দ্রæত উন্নয়ন এবং শক্তিশালী করতে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে।’

সফরের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন কিম জং-উন। গত মঙ্গলবার রাশিয়া সফরে যান তিনি।

সেখানে বুধবার তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠক মূলত গুরুত্ব পায় সামরিক বিষয়। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার স্যাটেলাইট কর্মসূচিও আলাদা করে গুরুত্ব পায় পুতিন ও কিমের আলোচনায়। শনিবার কিম রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেইর সঙ্গে বৈঠক করেন। এদিন রাশিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কিনঝাল’ দেখেন কিম। উত্তর কোরিয়া করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর তার সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল।

এ ছাড়া কিমের দেশের বাইরে সফরের প্রবণতাও কম। গত ১২ বছরে তিনি মাত্র সাতবার দেশের বাইরে গেছেন। এর মধ্যে চীনেই গেছেন চারবার। এই মহামারি শুরুর পর এই প্রথম কিম দেশের বাইরে সফর করলেন। পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে কিমের সফরকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কে আবারও টানাপোড়েন দেখা দিল। ইতিমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কিমের সফর নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র পেতে পারে রাশিয়া। এতে ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন করে শক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ পাবে দেশটি। যদিও মস্কো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে তাদের কোনো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি, হবেও না।

সূত্র: আল অ্যারাবিয়া