প্রকাশিত : শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩

Share This News

ঘূর্ণিঝড় মোখা: বাতাসের গতিবেগ ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে

ঘূর্ণিঝড় মোখা: বাতাসের গতিবেগ ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে

এশিয়া ডেইলি নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ শনিবার (১২ মে) সকালে আবহাওয়ার ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। আরো উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে আজ রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগের প্রভাব শুরু হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ১৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ আছে। 

বাংলাদেশে উপকূলীয় ১২ জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ। অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। সেন্ট মার্টিন অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে, যেহেতু এটা টেকনাফের দক্ষিণে পড়েছে। এদিক দিয়েই ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র অতিক্রম করবে। এ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তাই সবচেয়ে বেশি। কক্সবাজার পুরো জেলাই আসলে ঝুঁকি বা ক্ষয়ক্ষতির আওতায় থাকবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল কালের কণ্ঠকে জানান, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, টেকনাফ, কক্সবাজার এলাকা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। তিনি বলেন, সেন্ট মার্টিনে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র আছে; কিন্তু অপ্রতুল। যাদের আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়, তাদের ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। অতীতেও এ ধরনের পরিস্থিতিতে সেন্ট মার্টিন থেকে সরকার লোকজনকে সরিয়েছে।