আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্কের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন অভিযোগ তুলেছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লু। শুক্রবার তিনি সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ করেন। এসময় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রথম থেকেই নির্বাচনে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে। ২০১৬ সালের অভ্যুত্থানের পেছনেও যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সয়লু দাবি করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে, আমরা ২০১৬ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তুরস্কের সরকারকে সরাতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে এবার আমরা অভ্যুত্থান নয়, নির্বাচনের মাধ্যমে এটা করতে চাই। তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে যে অভ্যুত্থান হয়েছিল তার পেছনে আছেন ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেন ও তার অনুসারিরা। তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র মদদ দিচ্ছে। ওই ঘটনার পর তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল দেখা যায়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ই মে। এতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলু।
এরদোগান তার প্রতিদ্বন্দ্বীর তুলনায় বেশ রক্ষণশীল এবং স্বাধীন নীতিতে বিশ্বাস করেন। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক আরও উন্নত করতে কাজ করছেন এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে তুরস্কের দূরত্ব বৃদ্ধি করেছেন। অপরদিকে কামালকে দেখা হয় পশ্চিমাপন্থী নেতা হিসেবে। জরিপ বলছে, জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন কামাল। তবে এখনই তুরস্কে এরদোগান যুগের শেষ হচ্ছে কিনা তা বুঝতে এ মাসের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।