প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর ২০২৩

Share This News

নির্বাচনের পরে দেশে বড় বড় বিনিয়োগ আসবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

নির্বাচনের পরে দেশে বড় বড় বিনিয়োগ আসবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

দেশে বড় বড় বেশ কিছু বিনিয়োগ আসবে সামনে জাতীয় নির্বাচনের পরে । আমার সঙ্গে এরইমধ্যে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের কাছেও বেশ কিছু বড় বিদেশি বিনিয়োগ আসার প্রস্তাব এসেছে। নির্বাচনের পরেই কান্ট্রি ব্যান্ডিংয়ের সুফল আসবে বলে জানিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

নির্বাচনের পরে দেশে বড় বড় বিনিয়োগ আসবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

সোমবার (০২ অক্টোবর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে এখন বিনিয়োগের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। আমার সঙ্গে এরইমধ্যে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী এখানে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশের ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্র হওয়া সম্ভব নয়। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য এখন বিনিয়োগ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ এখন বাংলাদেশের জন্য খুবই জরুরি। আমাদের দেশে এখন বিনিয়োগের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে। বিনিয়োগের মাধ্যমে কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নকে আরো বেগবান করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য আমাদের কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং দরকার ছিলো। আমরা বিভিন্ন দেশে রোড শো করে এটাই করতে চেষ্টা করেছি। এটা বিএসইসির দায়িত্ব না হওয়া সত্বেও আমরা দেশের স্বার্থে করেছি। ইতোমধ্যে বেশিকিছু সাড়াও পাওয়া গেছে।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারী কিভাবে আসবে? তারা তো ভাবে আমরা গরীব, মূর্খ, সাইক্লোন আক্রান্ত, বর্বর। তাহলে কেন বিদেশিরা এদেশে বিনিয়োগ করবে? তাদের এই ভুল ধারণা ভাঙানোর জন্য ই আমরা কান্ট্রি ব্র্যান্ডিং করেছি।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিনিয়োগ সপ্তাহে তাই আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদেরকে আরও স্মার্ট হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সবসময় বলেন স্মার্ট হতে। প্রতিটা কাজে, বিনিয়োগে ঝুঁকি যেভাবে বেড়েছে, স্মার্ট না হলে সেগুলো এড়িয়ে চলা যাবেনা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে পরিকল্পনা হয় ৫ বছর মেয়াদি। পাকিস্তান ও ভারত ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা হয়ে থাকে। বঙ্গবন্ধুও ৫ বছরের এই পরিকল্পনাকেই গুরুত্ব দেন। এক বছরের মাঝে সংবিধান তৈরি করেলেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনলেন ২০ বছরের স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান৷ যা ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত করা।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিনত হওয়ার পরিকল্পনা বাংলাদেশের। ঝড় ঝাপটা না হলে ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন পূরণ হবে বাংলাদেশের। এখন যে গতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ এ গতি অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিনত হতে পারবে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এসময় প্যানেল আলোচনা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান। প্যানেল আলোচনা প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করীম, বিএমবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান, ডিবিএর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুদ্দিন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সিআরও খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ।