প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

Share This News

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারল না

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারল না

কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ভারতের বিপক্ষে হার বরণ করল বাংলাদেশ। ২৫৭ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়ে টিম ইন্ডিয়াকে চাপে ফেলতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্ত বাহিনী। ৮.৩ ওভার বাকি রেখে রোহিত শর্মারা জিতেছেন ৭ উইকেটে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেয়া ২৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই মেরে খেলতে থাকেন গিল-রোহিত। টাইগার বোলারদের পাত্তাই দিচ্ছিলেন না ভারতের দুই ওপেনার। দুজনই চলে যান ফিফটির কাছে। কিন্তু ২ রান দূরে থাকতে হাসান মাহমুদের বলে সীমানার কাছে তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দেন রোহিত। ৪০ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ের ইনিংস খেলেন তিনি।

এরপর বিরাট কোহলির সঙ্গে ৪৪ রানের জুটি গড়ে তুলেন গিল। দলীয় ১৩২ রানে আউট হন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন আইয়ার। বিরাট কোহলির সঙ্গে জুটি বেঁধে রানের চাকা ঘুরাচ্ছিলেন তিনি। ১৯ রানে মিরাজের বলে আউট হন এ ব্যাটার। আইয়ার ক্যাচ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। মিরাজের আগের উইকেটেও ক্যাচ ধরেছিলেন তিনি।

বাকি কাজটা সেরে ফেলেন কোহলি ও লোকেশ রাহুল মিলে। নিজেদের ইনিংসে কোনো ভুলই করেননি ভারতের দুই ব্যাটার। বাংলাদেশও উইকেট তুলে নেয়ার মতো চাপ তৈরি করতে পারেনি। ম্যাচ জেতার পাশাপাশি সেঞ্চুরিও করেন কোহলি। ৯৭ বলে শেষ পর্যন্ত ১০৩ রানে অপরাজিত তিনি। তার ইনিংসে আছে ৬টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। লোকেশ রাহুল অপরাজিত ৩৪ রানে।

 এর আগে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৫৬ রান করে বাংলাদেশ। লিটন দাস ও তানজিদ তামিম দেখেশুনে খেলার পর বাংলাদেশ যে মোমেন্টাম পেয়েছিল, টাইগাররা সেটা ধরে রাখতে পারেনি ম্যাচের বাকি অংশে। এক পর্যায়ে তামিম ও লিটন দুজনই ফেরেন দায়িত্বশীলতার অভাব দেখিয়ে। শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের টি-টোয়েন্টিসুলভ ইনিংসে আড়াইশ পার করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

তামিমের ৫১ রানের পর লিটন করেন ৬৬। মাঝে মুশফিক ৩৮ রান করে আউট হন দুর্ভাগ্যজনকভাবে। শেষে রিয়াদ ৪৬ ও নাসুম আহমেদ করেন ১৪ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাওহীদ হৃদয়রা তো ব্যর্থই।

সেঞ্চুরি করে ম্যাচসেরা হয়েছেন কোহলি।