প্রকাশিত : বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

Share This News

বলিউডে নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়াও !

বলিউডে নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়াও !

শুধু প্রিয়াঙ্কাই নন, বলিউডে একসময় কোণঠাসা করা হয় বচ্চন পরিবারের পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকেও। ১৯৯৪ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতার মঞ্চেই ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন কথা দিয়েছিলেন, মানুষের জন্য কাজ করবেন, কাজ করবেন শান্তির জন্য। বিশ্বসুন্দরীর মুকুট জেতার পর তিনি তার কথা রেখেছেন। সব সময় নিজের সেরাটা দিয়ে মানবসেবা করছেন এই বলিউড তারকা। 

আজ ১ নভেম্বর এই তারকা ৫০ বছরে পা রেখেছেন। কয়েক যুগ ধরে দর্শকের মনে নিজের এক অন্য জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন নায়িকা। তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ অগণিত ভক্তের হৃদয়। বাড়তি পাওনা তার অভিনয়ের দক্ষতা। সিনেমায় আসার আগে থেকে জনপ্রিয় ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ১৯৯৪ সালে মিস ওয়ার্ল্ডের খেতাব জয় করেছিলেন ঐশ্বরিয়া।

এর অনেক আগে থেকে টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের কাজ করতেন তিনি। নবম শ্রেণিতে পড়াকালে প্রথম ক্যামলিন পেনসিলের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছিলেন তিনি। বিশ্বসুন্দরীর খেতাব জেতার পর ১৯৯৭ সালে শুরু করেন অভিনয়। বলিউডে খ্যাতির শীর্ষে থাকা তারকাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। অথচ এই অভিনেত্রী কিনা বলিউডের নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন। এ কথা নিজেই বলেছেন অমিতাভের পুত্রবধূ।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সাবেক বিশ্বসুন্দরী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান, তিনি বলিউডের নোংরা রাজনীতিতে ক্লান্ত হয়ে বলিউড ছেড়েছিলেন। প্রিয়াঙ্কার এই মন্তব্যের পর বলিউডের অনেক তারকা তাকে সমর্থন করে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। বলিউডের ‘নোংরা রাজনীতি নিয়ে এই বিতর্কের মাঝে ভাইরাল হয়েছে ঐশ্বরিয়ার পুরোনো একটি সাক্ষাৎকার, যেখানে নোংরা রাজনীতি প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ঐশ্বরিয়া। সাক্ষাৎকারে সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া জানান, বলিউডে নোংরা রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন তিনিও। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

‘দেবদাস’, ‘মোহাব্বতে’সহ আরও কয়েকটি সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খান ও ঐশ্বরিয়া রাই। পরে ‘বীর জারা’, ‘চলতে চলতে’সহ মোট পাঁচটি সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করার কথা ছিল এই জুটির।

কিন্তু ওই সময় কোনো কারণ ছাড়াই এই সিনেমাগুলো থেকে বাদ পড়েছিলেন ঐশ্বরিয়া। সিমি গারেওয়ালের পুরোনো একটি শোতে এ প্রসঙ্গে ঐশ্বরিয়া বলেন, ‘আমার সঙ্গে শাহরুখের কয়েকটি সিনেমা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কোনো কারণ ছাড়াই সেগুলো হয়নি। কেন হয়নি, সেই উত্তর আমার কাছে নেই।’ এ রকম ঘটনায় বড় আঘাত পেয়েছিলেন বলে জানান এই অভিনেত্রী।

এ প্রসঙ্গে ঐশ্বরিয়া আরও বলেন, ‘এ ঘটনা আমাকে আরও সচেতন করেছে। বুঝিয়েছে যে বলিউড ব্যক্তিত্বরা অন্য মানুষ কিংবা প্রজেক্টের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আমার সঙ্গেও এ রকম কিছু হতে পারে, বক্স অফিস সাফল্য কিংবা ইন্ডাস্ট্রিতে নিরাপদ অবস্থান থাকা সত্ত্বেও।’

শাহরুখকে কখনো এ ব্যাপারে প্রশ্ন করেছেন কি না, জানতে চাইলে ঐশ্বরিয়া জানান, এটা তার স্বভাবের সঙ্গে যায় না। তবে বহু বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ খান ঐশ্বরিয়ার বাদ পড়ার এ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘কাউকে নিয়ে কোনো প্রজেক্ট শুরু করা এবং কোনো কারণ ছাড়াই তাকে বাদ দিয়ে দেওয়া কখনোই খুব সহজ সিদ্ধান্ত নয়। এটা খুব দুঃখজনক। প্রযোজকদের পক্ষ থেকে তখন ওই সিদ্ধান্তই ছিল। অ্যাশ আমার ভালো বন্ধু, আমি ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’ তবে সালমান খানের সঙ্গে ব্রেকআপের কারণেই ঐশ্বরিয়াকে এসব সিনেমা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করে বলিউডের বড় একটা অংশ।