প্রকাশিত : বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

Share This News

সালমান এলেন, মমতা দিদির মন জয় করলেন

সালমান এলেন, মমতা দিদির মন জয় করলেন

এতোদিন আসি আসি বলেও আশা হয়নি। বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান একাধিকবার এসেছেন কলকাতায়। তিনি আগেই দিদির মন জয় করেন। তবে এবার আর আশ্বাস নয় সত্যি সত্যি কলকাতা এলেন বলিউড শাহেনশাহ সালমান খান। শুধু এসছেন তাই না জয় করেন দিদিন মনও।

মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের শুভ সূচনায় চাঁদের হাট। যার মধ্যমণি সলমন খান। ভাইজান এলেন, দেখলেন আর জয় করলেন তিলোত্তমার মন।

এদিন অল ব্ল্যাক লুকে কিফে নজরকাড়া সলমন খান। সম্বর্ধনা পর্ব মিটতেই মঞ্চে ভেসে উঠল অরিজিতের মিউজিক ভিডিয়ো। তারপরেই সঞ্চালক তথা তৃণমূলের বিধায়ক জুন মালিয়ার আবদার, ‘ভাই (সলমন) এই গানে আপনি খুব মাথা নাড়ছিলেন, যদি একটু…’। বলা মাত্রই উঠে দাঁড়ালেন সলমন। ভাইজান নাচবেন আর দিদি নাচবেন না তা কী হয়? সটান মমতার দিকে হাত বাড়ালেন সলমন। রাজি নন দিদি, কিন্তু নাছোড়বান্দা বলিউডের ভাইজান। অবশেষে তাঁর জেদের সামনে হার মানলেন মমতা। ওমনি করতালিতে ভরে উঠল নেতাজি ইন্ডোর।

এদিন উদ্বোধনী বক্তৃতায় সলমনকে কলকাতায় স্বাগত জানালেন বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দাদা জানান জীবনের প্রথমবার ভাইজানের সঙ্গে তাঁর দেখা হল। সৌরভ বলেন, ‘একটু আগে সলমনের সঙ্গে আমার সেটা নিয়েই কথা হচ্ছিল, কেন জানি না তবে আমাদের কোনওদিন মুখোমুখি দেখা হয়নি’। তৃণমূলের সাংসদ তথা এদিনের বিশেষ অতিথি শক্রুঘ্ন সিনহা এদিন সকলকে ‘খামোশ’ করে দিলেন তাঁর ভাষণে। ইফিকে ছাপিয়ে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবই সেরা জানালেন তিনি। বাবার পাশে চুপটি করে দাঁড়িয়ে সোনাক্ষী। দাবাং নায়িকা কন্ঠে শোনা গেল, ‘কলকাতা আমি তোমাকে ভালোবাসি’। 

‘নায়ক’ অনিল কাপুর বাংলার সঙ্গে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারের আত্মিক যোগের কথা শোনালেন। পাশাপাশি কুর্নিশ জানালেন মহানয়াক উত্তম কুমার-সহ বাংলার বিশিষ্ট চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের। এরপর মঞ্চে বক্তব্য রাখলেন ভাইজান! শুরুতই সলমন বলেন, ‘আর বেঁচে আছেটা কী? সবই তো আমার আগে মহেশ ভাট, অনিল কাপুর, আর শক্রুঘ্ন সিনহা বলে দিয়েছেন। বাকিটুকু সোনাক্ষী দেবী বলে দিয়েছেন। আমি আর কী বলব?’ এয়ারপোর্ট থেকে নেতাজি ইন্ডোর পৌঁছাতে যা কিছু বলার জন্য নোট তৈরি করেছিলেন, সবই বলা হয়ে গিয়েছে। তাই শুরুতেই মঞ্চ ছেড়ে চলে যেতে চাইলেন সলমন। এরপর সবার জোরাজুরিতে দু-চার কথা বলেন সুপারস্টার। যার কেন্দ্রে থাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আমার বাড়ির থেকে দিদির বাড়ির ছোট কী করে হয়! জেনেই আমি কমপ্লেক্স খেয়ে গেলাম’। ভবিষ্যতে বাংলায় এসে কাজ করার কথা বলে নিজের বক্তব্য শেষ করেন অভিনেতা। 

এদিন মমতারও ভূয়সী প্রশংসা করেন সালমান খান। সালমান বলেন, ‘আমি শুনেছিলাম, দিদির বাড়ি অনেক ছোট। আমি সেটাই দেখতে গিয়েছিলাম। আমার ছোট ঘর, তার মধ্যে আমার মা বাস্তু মেনে সব ঘুরিয়ে রাখে। একদিন আমার বাবা বলে, ছেলের বিছানাটা খাঁড়া রেখে দাও। তাই আমি দেখতে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখলাম, আমার ঘরের থেকেও ছোট। আমি সত্যিই ঈর্ষান্বিত হয়েছি যে কী করে এই পদের কোনও ব্যক্তি এত ছোট ঘরে থাকতে পারে! উনি আমায় শিখিয়েছেন কীভাবে সাধারণভাবে থাকা যায়’।

প্রসঙ্গত, এদিন বলিউডের তারকাদের পাশাপাশি হাজির ছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখার্জি, লিলি চক্রবর্তী, রঞ্জিত মল্লিক, দীপঙ্কর দে, সব্যসাচী চক্রবর্তী, সন্দীপ রায়, গৌতম ঘোষ, অঞ্জন দত্ত থেকে শুরু করে হাজির ছিলেন প্রসেনজিৎ, দেব, রাজ চক্রবর্তী, কোয়েল মল্লিক, কৌশানী, সায়ন্তিকা, মিমি, নুসরাতের মতো তারকারাও। এক কথায় হাজির ছিল প্রায় গোটা টলিউড।