প্রকাশিত : রবিবার, ২১ জানুয়ারি ২০২৪

Share This News

বিশ্বকাপের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল পাকিস্তান

বিশ্বকাপের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল পাকিস্তান

গত বিশ্বকাপের পর থেকেই যেন জয়ের দেখা পেতে ভুলে গিয়েছিল পাকিস্তান। অবশেষে জয়ের দেখা পেল দেশটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে রক্ষা পেয়েছে পাকিস্তান। প্রথম চার ম্যাচে টানা হারের পর পঞ্চমটিতে ৪২ রানের ব্যবধানে জিতেছেন সফরকারীরা। দুদলের পাঁচ ম্যাচের সিরিজটি ৪-১ ব্যবধানে জয় দিয়ে শেষ করলেন স্বাগতিক কিউইরা।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের টেস্ট সিরিজ হারার পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ৪ ম্যাচেই হেরেছিল তারা। অবশেষে টানা ৮ হারের পর রোববার সিরিজের ৫ম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা পেল শাহিন শাহ আফ্রিদির দল। 

ক্রাইস্টচার্চে রোববার সিরিজে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডকে ৪২ রানে হারিয়ে জয়খরা কাটিয়েছে পাকিস্তান। সেটাও রেকর্ড গড়ে। টি-টোয়েন্টিতে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সবচেয়ে কম রান করে জয় পাওয়া রেকর্ড এটি।

রোববার ভোরে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে পাকিস্তান তোলে ১৩৪ রান। পরে বোলিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিউ জিল্যান্ডকে চেপে ধরে পাকরা। শেষ পর্যন্ত কিউইদের ৯২ রানে অলআউট করে শাহিন আফ্রিদির দল। এর আগে ২০২১ সালে স্কোরবোর্ডে সর্বনিম্ন ১৫৬ রান তুলে জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, যদিও পাকিস্তানের এ জয়কে সান্ত্বনাই বলা ভালো। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা সিরিজ হেরেছে ৪-১ ব্যবধানে। 

১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা নিউ জিল্যান্ড এদিন শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল। প্রথম ৫ ওভারের মধ্যেই হারায় দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও রাচিন রবীন্দ্রকে। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা অ্যালেন ১৯ বলে আজ করতে পেরেছেন ২২ রান। তারপরও শেষ ১০ ওভারে তাদের প্রয়োজন ছিল ৮১ রান। হাতে ৭ উইকেট। তবে ১০ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে নিউ জিল্যান্ড উইকেট হারায় ৫টি। ইফতিখার আহমেদ নেন ৩ উইকেট। 

এরপর গ্লেন ফিলিপস নিউ জিল্যান্ডকে আশা দেখালেও ম্যাচের ১৮তম ওভারের প্রথম দুই বলে ফিলিপস ও লকি ফার্গুসনকে আউট করে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক আফ্রিদি। ১৩৫ রানের জবাবে নিউ জিল্যান্ড গুটিয়ে যায় মাত্র ৯২ রানে। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয়বারের মতো ঘরের মাঠে ১০০ রানের নিচে গুটিয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। অন্য ঘটনাটিও এই পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১০ সালে।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং করা পাকিস্তান ওপেনিংয়ে নামায় হাসিবুল্লাহ খানকে। অভিষেক ম্যাচ জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। টিম সাউদির বলে ফিরেন শূন্য রানেই। এরপর বাবর আজমকে সঙ্গে নিয়ে ৫৩ রানের জুটি গড়েন মোহাম্মদ রিজওয়ান, যদিও সেটা টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলে নয়। এই জুটি ৫৩ রান তুলতে বল খরচ করেছে ৫৬টি। দুবার ‘জীবন’ পেয়েও বাবর ১৩ রান করে আউট হন ২৪ বল খেলে।

বাবর আউট হওয়ার পর ফখর জামানকে নিয়ে ১৯ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। এই ৩৫ রানের জুটিতে ১৬ বলে ৩৩ রানই আসে ফখরের ব্যাট থেকে। দলীয় ৮৮ রানে ফখর আউট হওয়ার পর ৯১ রানে ফেরেন মোহাম্মদ নওয়াজ। ৩৮ বলে ৩৮ রান করা রিজওয়ানও দলীয় ৯১ রানেই পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। সেখান থেকে পাকিস্তানের রান ১৩৪-এ গেছে শাহিবজাদা ফারহানের ১৪ বলে ১৯ ও আব্বাস আফ্রিদির ৬ বলে ১৪ রানে। 

নিউ জিল্যান্ডের হয়ে সাউদি, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসন ও ইশ সোধি প্রত্যেকে ২টি উইকেট নিয়েছেন। ২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ইফতিখার। ২৭৫ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন ফিন অ্যালেন।