প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪

Share This News

বিমানের টিকেটের মূল্য কমানোর দাবীতে প্রতিবাদ সভা

বিমানের টিকেটের মূল্য কমানোর দাবীতে প্রতিবাদ সভা

লন্ডন-সিলেট রুটের বিমানের টিকেটের মূল্য কমানোর দাবীতে গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারি বুধবার যুক্তরাজ্যের লুটন শহরে দক্ষিন সুরমা ইঊনাটেড ইউকের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

লুটনের একটি কমিউনিটি হলে আয়োজিত সভায় লুটনের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব সাজ্জাদ আলী দিলওয়ারের সভাপতিত্বে এবং প্রাক্তন ছাত্রনেতা ,বিশিষ্ট সংগঠক জনাব এডভোকেট সফিক উদ্দিন আহমদের পরিচালনায় অনুষ্টানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন জনাব খালেদ আহমদ।

সভায় বক্তারা বিমানের টিকিটের মূল্য বিশ্বের অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে সমন্বয় করার দাবি তুলেছেন। তারা বলেন, সিলেটের যাত্রীদের নিয়ে এক ধরনের তামাশা হচ্ছে, যা বিশ্বের আর কোথাও এ ধরনের সিস্টেম নেই। বিমান সিলেটের যাত্রীদের চাপ দেখে দফায় দফায় দাম বাড়ায়।

লন্ডন-সিলেট রুটে বিমানের টিকিট যেন ‘সোনার হরিণ। সব সময়ই টিকিট সংকট। টাকা দিয়েও মিলে না বিমানের টিকিট। গোপন সিন্ডিকেটের কারণে ‘গোপন চ্যানেলে’ দিগুণ, তিনগুণ টাকা দিয়ে টিকিট কিনে যাত্রীদের যেতে হচ্ছে। বিমানের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধির কারনে মধ্য আয়ের লেকেরা পরিবার নিয়ে দেশে যেতে পারছেন না। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এখন পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখানে দেশি-বিদেশি যেকোনো এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ওঠা-নামা করতে পারবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও গ্রাউন্ড সার্ভিস না দেয়ার কারণে বিদেশের এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো সিলেটে যেতে পারছে না। এ কারণে একমাত্র বিমানই সিলেট থেকে বহির্বিশ্বে ফ্লাইট অপারেট করে।

বিমান যে ব্যবসা করে তার ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ ব্যবসা সিলেটের যাত্রী থেকেই করে। কারণ হচ্ছে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন হয়রানি, লাগেজ নিরাপত্তার অভাবের কারণে সিলেটের যাত্রীরা ঢাকা হয়ে দেশে যেতে চান না।

গোটা বছরই যুক্তরাজ্যর দুটি রুটে বিমানের টিকিটের সংকট লেগেই খাকে। অথচ বিমানের উঠার পর দেখা যায় প্রায় সিট খালি। কয়েকটি বড় ট্রাভেল এজেন্সি বিমানের টিকিট বিভাগের কিছু কর্মকর্তাদের সঙ্গে আঁতাত করে বেশি দামে টিকিট নিয়ে আসেন এবং তারা আরেক দফা দাম বাড়িয়ে সেই টিকিট বিক্রি করেন। কেবলমাত্র নির্ধারিত মূল্য পাচ্ছে বিমান কর্তৃপক্ষ। মাঝখানে মধ্যস্বত্বভোগীরা লুটে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।

বক্তারা বলেন- বিমানের এক শ্রেণির কর্মকর্তা ওয়েবসাইটের সফটওয়্যারে টিকিট ‘হাইড’ করে রেখে দেন। পরে তারা নির্ধারিত এজেন্সির মাধ্যমে এগুলো বেশি দামে বিক্রি করেন। কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রী অনুপাতে বিমানের এমনিতেই আসন সংকট। সপ্তাহে ৭টি ফ্লাইট যথেষ্ট না। সিলেটে অন্য কোনো এয়ারলাইন্সের সেবা না থাকার কারণে বিমান ‘মনোপলি’ ব্যবসা করছে।বক্তারা বিমান বাংলাদেশ যাতে প্রবাসীদের লাশ পার্শবর্তী দেশসমূহের মতো ফ্রিতে বহন করে বাংলাদেশে নিয়ে যায় তার দাবীও তুলে ধরেন। তারা অবিলম্বে টিকিটের দাম কমিয়ে একটা লেভেল ফিল্ডে নিয়ে আসার এবং এয়ারপোটে যাত্রী হয়রানির বন্ধের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুনজর কামনা ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের প্রতি জোর দাবী জানান। অন্যথায় প্রবাসী বাংলাদেশি জনগণ বিমান বয়কট করতে বাধ্য হবে। এ দাবীর পক্ষে জনমত গড়ে তোলার জন্য প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।

সভায় উপস্হিত থেকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— ফখর উদ্দিন চৌধুরী , ফেরদৌস শেরদিল, কামাল উদ্দিন, আহমেদ সাদিক, আব্দুল কাইয়ুম পংকি, বাবুল হোসেন, এমদাদুল হক পাবেল, পারভেজ আহমদ ,শেখ মনসুর আহমদ, এস এম হক এনাম, তাহিরুল হাসান জুনেদ, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, রায়হান আহমদ, জহির উদ্দিন জামাল, মোস্তাক আহমদ, মোহাম্মদ আব্দুস সহিদ, রুম্মান আহমদ, মঈন হোসেন, আবুল হাসান, বজলুর রহমান, সালেক আহমদ , ইকবাল আহমদ ,সেলিম আহমদ, জালাল আহমদ ,মোহাম্মদ রাজা মিয়া ,মোহাম্মদ রায়হান ,জামাল উদ্দিন , মাসুক ঊদ্দিন ,মোহাম্মদ সাহেল আহমদ, ইসমাইল হোসেন, আহাদ গাজি, মুহিবুর রহমান, মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন রাজন, মোহাম্মদ আব্দুল মালিক, মোহাম্মদ আলী, বেলাল আহমদ , জামাল উদ্দিন, ইকবাল হাসান , আমিনুর রহমান আহমেদ , আবুল কালাম , আনহার মিয়া , মোহাম্মদ হেলাল আহমদ ,সাহেদ আহমদ , রইছ আলী, লাল আহমদ, সেলিম ঊদ্দিন রায়হান, জাহির আহমদ প্রমুখ।