প্রকাশিত : বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

Share This News

মেয়র তাপসের বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে আনলেন ব্যারিস্টার আমীর

মেয়র তাপসের বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে আনলেন ব্যারিস্টার আমীর

এশিয়া ডেইলি নিউজ ডেস্ক: ‘একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম’, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের দেওয়া এমন বক্তব্য আপিল বিভাগের নজরে এনেছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আমীর-উল ইসলাম।

বুধবার (২৪ মে) এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগের নজরে আনেন এই আইনজীবী। এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা একটু দেখি। এখন কোর্টের কাজ করি।’  

এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী কায়সার কামাল, সমিতির সাবেক সম্পাদক এম বদরুদ্দোজা ও মো. রুহুল কুদ্দুসসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তারা এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকিরও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২১ মে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ। সংগঠনটির সদস্যসচিব হিসেবে সেই অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মেয়র তাপস। সেই অনুষ্ঠানে দেওয়া মেয়র তাপসের বক্তব্য জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়।  

বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি নগর ভবন থেকে শুনি যে, (সুপ্রিম কোর্টে) আমার নেতাকর্মীদের গায়ে হাত দেওয়া হয়। মনটা চায় (মেয়র পদ থেকে) ইস্তফা দিয়ে আবার (সুপ্রিম কোর্টে) ফিরে আসি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম।’

আর প্রকাশিত এ প্রতিবেদন সর্বোচ্চ আদালতের নজরে আনা হয়।

আদালত থেকে বেরিয়ে এক ব্রিফিংয়ে আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘এটি বড় রকমের অবক্ষয়। এজন্য আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়েছিলাম। আদালত বলেছেন, তারা দেখবেন। আমরা প্রত্যাশা করছি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এটি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে এক ব্রিফিংয়ে আমীর-উল ইসলাম আরও বলেন, ‘মেয়র তাপস সুশীল সমাজ সম্পর্কেও কটাক্ষ করে কথা বলেছেন। বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। বিচার বিভাগকে হেয় করেছেন। তার এ বক্তব্য আদালত অবমাননাকর।’