মাহে রমজানে সারাদিন রোজা রেখে ইফতারে একসাথে অনেক খাবার খাওয়া হয়। অধিকাংশ রোজাদার ভাজাপোড়া খেয়ে থাকেন। দিনভর রোজা রেখে সন্ধ্যায় একসাথে ভাজাপোড়াসহ আরও অনেক খাবার খেলে পেটে গণ্ডগোল দেখা দেয়। বদহজম, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হয়ে থাকে। এ ধরনের পেটের সমস্যা এড়াতে ইফতারের খাবার খেতে হবে কিছু নিয়ম মেনে।
ইফতারে কোন ধরনের খাবার খেলে অ্যাসিডিটি হবে না তা সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন অভিজ্ঞ ডায়েটিশিয়ান। তাদের মতে, রোজা ভাঙার সাথে সাথে লেবু, চিনিযুক্ত শরবত কিংবা ট্যাঙ জাতীয় শরবত পান করা যাবে না। রোজা ভাঙতে হবে খেজুর বা এ জাতীয় খাবার দিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে নরমাল পানি পান করতে হবে।
চিনি ছাড়া লাচ্ছি, কম লেবু দিয়ে পুদিনা পাতার জুস, টক দইয়ের সাথে পুদিনা পাতা ও সামান্য লবণ দিয়েও স্মুদি করেও পান করা যেতে পারে। এ ধরনের পানীয় গ্যাস কমাতে কার্যকরী।
অ্যাসিডিটি কমাতে ইফতারে যা খাবেন, যা খাবেন না:
• ইফতারের মেন্যুতে তরল জাতীয় খাবার, সহজে হজম হয় এমন খাবার, ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাতলা খিচুড়ি, স্যুপ, সাবুদানার আইটেম, সেদ্ধ ভেজিটেবল, চাইনিজ ভেজিটেবল, মোমো খেতে পারেন।
• মেন্যুতে প্রোটিন জাতীয় খাবারও রাখতে হবে। তবে চর্বি ও ট্র্যান্সফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
• ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত ও মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
• একসাথে অনেক ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না। এ অভ্যাস গ্যাসের জন্য দায়ী। কেননা একসাথে সব ধরনের খাবার হজম হতে পারে না।
• যাদের টক জাতীয় খাবারে অ্যাসিডিটি হয়, তারা এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলবেন।
অ্যাসিডিটি কমাতে আরও যা করতে পারেন:
• ইফতার করার পর অ্যাসিডিটি হলে দুই তিনটি পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন। চাইলে এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে সেদ্ধ করে সেই পানি পান করতে পারেন।
• অ্যাসিডিটি কমাতে মৌরি চিবিয়ে খেতে পারেন। এটি পাকস্থলী ও অন্ত্রের পেশিতে প্রভাব ফেলে যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।
• অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে আদা কুচি করে কেটে লবণ দিয়ে খেতে পারেন। আদায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে সহায়ক।