প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

Share This News

জার্মানির চিড়িয়াখানা থেকে নারী বানর চুরি

জার্মানির চিড়িয়াখানা থেকে নারী বানর চুরি

লাইপজিশ চিড়িয়াখানা থেকে একটি বিরল প্রজাতির ছোট লেজওয়ালা বানর নিখোঁজ! কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বানরের খাঁচার ভেতর ঢুকে পড়েছিল। তারপর থেকেই বাদরটি আর নেই। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে।

‘লায়ন টেলড ম্যাকাক’ ছোট লেজওয়ালা বাঁদর বিশ্বের অন্যতম বিপন্ন প্রজাতি। জার্মানির পূর্বাঞ্চলের শহর লাইপসিশ চিড়িয়াখানা থেকে মঙ্গলবার এমন একটি বাঁদর চুরির ঘটনা প্রকাশ হবার পর থেকে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা, শুরু হয়েছে তদন্ত।

‘খাঁচা ভাঙার চিহ্ন স্পষ্ট’

রোববার ইস্টারের ছুটির দিনে প্রাণীদের থাকার নির্দিষ্ট জায়গা ও খাঁচার অংশগুলি পরীক্ষা করার সময়েই চিড়িয়াখানার কর্মীরা দেখেন বাঁদরটি নেই।

চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে যে, রীতিমতো জোর করে খাঁচা ভাঙা হয়েছে, এবং সেই চিহ্ন স্পষ্ট। তাদের মতে, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা ফাঁদ পেতে বাঁদরটিকে চুরি করে।

চুরি যাওয়া নারী-বাঁদরটির বয়স ১৫ বছর, নাম রুমা। লায়ন টেলড ম্যাকাক বাঁদরদের লেজের আগা অনেকটা সিংহের লেজের মতো।

এই বাঁদরটির পাশেই বাস আরেকটি ১২ বছর বয়সি ম্যাকাক বাঁদরের। তাকে চুরি না করা হলেও চিড়িয়াখানা কর্মীরা জানান, খাঁচা ভাঙায় বাঁদরটির কোনো হেলদোল নেই।

জার্মান সংবাদ পত্র বিল্ডকে চিড়িয়াখানার এক মুখপাত্র বলেন, ইয়েমুর নামের পুরুষ ম্যাকাকটি- তার সঙ্গীর কথা ভাবছে, কারণ, বাঁদরদের একটি বিশেষ সামাজিক চরিত্র থাকে। ১৭টি ভিন্ন ডাক ও শরীরী ভাষায় এমনটাই বোঝাতে চাইছে বাঁদরটি।

বাঁদর কাণ্ডে পুলিশি তৎপরতা

এই চিড়িয়াখানাটি স্যাক্সনি রাজ্য পুলিশের আওতায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের আহ্বান জানিয়ে এই চুরির তদন্ত শুরু করেছে তারা। বাড়ানো হয়েছে চিড়িয়াখানা ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তাও।

লাইপসিশ চিড়িয়াখানার পরিচালক ইয়্যোর্গ ইয়ুনহোল্ড এই ঘটনাকে ‘খারাপ খবর’ বলেন। তার মতে, ‘‘এই চুরির কারণ ঠিক কী, তা না জানলেও মধ্যবয়স্ক প্রাণীটির অবস্থা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। তার দেখভালের জন্য বিশেষ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। আমরা খুব আশা করছি যাতে এই প্রাণীটিকে অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারি।’’

এই প্রজাতির বাঁদর মূলত বাস করে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের পশ্চিম ঘাটে। বনাঞ্চল কমতে থাকায় এই প্রজাতির মাত্র কয়েক হাজার বাঁদর এখন পাওয়া যায়।

এছাড়া, তাদের মাংস ও পশমের জন্যেও তাদের খোঁজে থাকে চোরাশিকারীরা। কিছু কিছু বিতর্কিত ‘চিকিৎসা' পন্থার জন্যেও এই প্রাণীর শিকার করে থাকেন কেউ কেউ।