প্রকাশিত : সোমবার, ২৯ মে ২০২৩

Share This News

যন্ত্রণাহীন মৃত্যু, আত্মহত্যা নিয়ে গুগলের নতুন ফিচার

যন্ত্রণাহীন মৃত্যু, আত্মহত্যা নিয়ে গুগলের নতুন ফিচার

কীভাবে আত্মহত্যা করব? আত্মহত্যা করতে মন চাইছে, যন্ত্রণাহীন মৃত্যু এই সব বিষয়ে সার্চের সংখ্যা বাড়ছে যা সত্যি উদ্বেগজনক। মানুষের অবসাদ কাটাতে তাই নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছে গুগল। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিশেষ প্রম্পট চালু হতে চলেছে গুগল সার্চ রেজাল্টে।

যখনই কেউ এই ধরণের প্রশ্ন করবে গুগলকে তখন তার উত্তর সম্পর্কিত রেজাল্টের পাশাপাশি একটি আগে থেকে লেখা প্রম্পট ফুটে উঠবে স্ক্রিনে যা তাদের সবচেয়ে দুর্বল মুহূর্তে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করবে। এই সময় সেই সব মানুষদের যাতে পাশে থাকা যায় সেই প্রচেষ্টাই করবে সার্চ ইঞ্জিন। চাঞ্চল্যকর তথ্য! ইন্টারনেটে বেড়েছে আত্মহত্যা সংক্রান্ত কিওয়ার্ডস সার্চ...

এদিন এই নতুন সুবিধা কথা জানিয়েছে গুগল। এই ফিচার প্রথম শুরু হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে ৯৮৮ সুইসাইড এবং ক্রাইসিস লাইফলাইনের নিচে প্রদর্শিত হবে এই ফিচার।

কনজিউমার মেন্টাল হেলথের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর ডাক্তার মেগান জোনস গুগল ব্লগ পোস্টে বলেছেন, যখন কেউ এই ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে থাকে তখন এই পরিস্থিতি বা তাদের অভিজ্ঞতাকে শব্দে প্রকাশ করা কঠিন। তাদের সাহায্যের জন্য কী বলা উচিত তাও অনুমান করা যায় না।

তিনি বলেন এবার থেকে যখন কেউ আত্মহত্যা সম্পর্কিত শব্দগুলি সার্চ করবে তখন তারা কথোপকথন শুরু করার জন্য একটি প্রম্পট দেখতে পাবে। সেখানে ক্লিক করে তারা টেক্সট মেসেজ পাঠাতে পারে। এই ফিচার শীঘ্রই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে বলে জানান তিনি।

তবে অন্যান্য দেশের ইউজারদের জন্য কী এই প্রম্পট থাকবে? তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি গুগল, যদিও সুইসাইড প্রিভেনশন তথ্য বহু বছর ধরে গুগল সার্চে দেখা যায়। বর্তমানে বহু স্বল্প বয়সী ছেলে মেয়েরা অবসাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। তাদের জন্য এই প্রম্পট কার্যকরী হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আত্মহত্যা ছাড়াও ক্ষতিকর খাবারের অভ্যাস কমাতে ওই সংক্রান্ত কন্টেন্ট মুছে দিতে শুরু করেছে গুগল। পাশাপাশি ক্ষতিকর খাবার সংক্রান্ত বয়স ভিত্তিক কন্টেন্টের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আনতে চলেছে গুগল। ১৮ বছরের কম বয়সী ইউজারদের জন্য এই নিয়ম মেনে চলা হবে। ক্ষতিকর খাবারের অভ্যাস কমাতে গুগল মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির সঙ্গেও কাজ করে চলেছে। বিশেষ করে সে সব সংস্থা যারা শিশু এবং প্রবীণদের মতো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার জন্য মনোনিবেশ করে।

ক্ষতিকর খাবার সংক্রান্ত ভিডিওর রিলেটেড সেকশনে এবার ক্রাইসিস রিসোর্স প্যানেল যোগ করা হবে। যখন কেউ এই ধরণের কনটেন্ট সার্চ করবে বা দেখবে তখন তাদের কাছে যেন তার ক্ষতিকর রূপ সম্পর্কে বার্তা পৌঁছোয়।