প্রকাশিত : রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

Share This News

রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থল থেকে সংকেত মিলেছে

রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাস্থল থেকে সংকেত মিলেছে

দুর্ঘটনটা কবলিত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার এবং ফ্লাইট ক্রুদের একজন সদস্যের মোবাইল ফোন থেকে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী সংকেত শনাক্ত করেছে বলে জানা গেছে।

ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) কমান্ডার আসগর আব্বাসগোলিজাদেহকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা তাসনিম বলেছে, ‘আমরা এখন সব সামরিক বাহিনী নিয়ে এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছি এবং আমি আশা করি জনগণকে সুসংবাদ দিতে পারব।’তিনি আরো বলেন, ‘এলাকায় আর বেশি বাহিনী রাখার ক্ষমতা নেই।’

সংবাদ সংস্থা ইসনা অনুসারে, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ঘোষণা করেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুসন্ধানের পর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার সম্ভাব্য অবস্থান শনাক্ত করা হয়েছে।

পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের আইআরজিসি কমান্ডার আরো বলেছেন, ‘কয়েক মিনিট আগে হেলিকপ্টার এবং এর একজন ক্রু সদস্যের সেলফোন থেকে সংকেত পাওয়া গেছে এবং আমাদের সব বাহিনী এখন ওই অবস্থানের দিকে যাচ্ছে।’

অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আইআরজিসির প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি এবং অন্যান্য সামরিক কমান্ডাররা যে এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে রয়েছেন এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটি জরুরি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সভা করছেন। 

এর আগে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার রবিবার নিখোঁজ হয় বলে জানা যায়। এরপর দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পাহাড়ে একটি বড় অনুসন্ধান অভিযান শুরু হয়।

রাইসি রবিবার ইরান-আজারবাইজান সীমান্তের কাছে একটি এলাকা থেকে ফিরে আসছিলেন, যেখানে তিনি তার আজারি প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দুটি বাঁধের উদ্বোধন করেন।

হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং ওই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে–হাশেম ছিলেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি পার্বত্য অঞ্চল এবং বনজঙ্গলে ঘেরা।

এদিকে তুর্কি সরকারের জরুরি সহায়তা সংস্থা এএফএডি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধানে ইরানকে সাহায্য করার জন্য তুরস্ক ৩২ জন পর্বতারোহী উদ্ধার বিশেষজ্ঞ পাঠাচ্ছে।

এক্সে একটি পোস্টে এএফএডি বলেছে, টিম এবং ৩২টি গাড়ি পূর্ব তুরস্কের কেন্দ্রগুলো থেকে মোতায়েন করা হয়েছে। ইরান নাইট ভিশনসহ একটি হেলিকপ্টার ব্যবহারের অনুরোধ করেছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

সূত্র : আলজাজিরা, ইরান ইন্টারন্যাশনাল