একটি অতি পরিচিত নাম মেহেদী । বাংলা সাহিত্য বা কবিতায় এর বহুমাত্রিক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। প্রকৃত অর্থে মেহেদি একটি রঙ, যা বাহ্যিক জীবনে অনেক উপকারে আসে। কেউ মাথায় ব্যবহার করে, কেউ আবার হাতে, আঙুলে ব্যবহার করে। বিশেষ কোনো উপলক্ষেও কেউ আবার ব্যবহার করে। প্রকৃত মেহেদি হলো প্রাকৃতিক মেহেদি। বর্তমানে বাজারে অনেক কোম্পানি মেহেদি পরিবেশন করে, যা প্রস্তুত হয় বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালের সমন্বয়ে। এ ক্যামিক্যালের সমন্বয়ই মানবজীবনে নিয়ে এসেছে এক বিরাট বিপর্যয়।
আসছে ঈদ। মেহেদি কোম্পানিগুলোও বসে নেই। টিভি, পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। বিশেষ করে শিশুদের মেহেদি থেকে সামলানো খুব কঠিন। শখের এ মেহেদির জন্য মাশুল দিতে হতে পারে। শিশু আক্রান্ত হতে পারে মারাত্মক চর্মরোগে। মেহেদিতে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল থাকায় চর্মরোগ হয়। প্যারাফিনাইলানিডিয়ামিন, প্যারাফিনাইলমার্কারিক নাইট্রেট, পটাসিয়াম ডাইক্রোমেটের মতো রাসায়নিক দ্রব্য আকছার এ ধরনের জিনিসে ব্যবহার করা হয়, যা অ্যালার্জি ও চর্মরোগের কারণ হতে পারে। তাই সবার আগে দেখে নিতে হবে এ রাসায়নিক দ্রব্য কার জন্য কতটা ক্ষতিকর।
অ্যালার্জির উদ্বেগ না হলে মেহেদি ব্যবহার করতে পারে। আসছে পবিত্র ঈদ। এই উৎসবে মেহেদি একটি ভালো অনুসঙ্গ। কিন্তু ভাবছেন ব্যবহার করবেন, না করবেন না। মেহেদি যেহেতু প্রাকৃতিক উপাদান, কাজেই প্রকৃতি থেকেই পাতা সংগ্রহ করে তা ব্যবহার করুন। নির্ভেজাল দ্রব্যটি নিশ্চয় আপনার সঙ্গে প্রতারণা করবে না।