প্রকাশিত : রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

Share This News

মোদির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন কারা?

মোদির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন কারা?

তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শুরু হবে শপথ অনুষ্ঠান। শপথ পাঠের আগেই এদিন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন মোদি। 

রোববার (৯ জুন) বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ ফল ঘোষণার পর সরকার গঠনের জন্য আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিতে শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন মোদি এবং সরকার গঠনের আবেদন জানান। বিজেপি সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতির কাছে এনডিএর মোট ২১ জন নেতার সমর্থনপত্র নিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি তা অনুমোদন করেন।

শনিবার (৮ জুন) মন্ত্রিসভার পদ বণ্টনে এনডিএর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জোটের শরিক হিসেবে নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় ৪টি মন্ত্রণালয় পাবে অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। আর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) ২টি মন্ত্রণালয় পাবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে কে কোন মন্ত্রণালয় পাচ্ছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন মতে, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো ঘিরে মানুষের কৌতূহল বাড়ছে; যার সবকটিই বিজেপি নিজের দখলে রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র, সড়ক পরিবহন, রেলওয়ে, আইটি ও শিক্ষা।

ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা সত্ত্বেও জোটের শীর্ষ শরিকদের বড় কিছু দাবি পূরণ না-ও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যেমন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডি(ইউ) রেলওয়ে মন্ত্রণালয় দাবি করেছে এবং এই দাবি থেকে মোটেও সরছে না।

তবে পাবে কি না তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আরও জল্পনা ছিল, টিডিপি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নিতে আগ্রহী। তবে বিজেপি এটাও ধরে রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রতিবেদন মতে, এনডিএর গুরুত্বপূর্ণ এই দুই মিত্র (টিডিপি ও জেডিইউ) বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ ক্যাটাগরির মর্যাদা দাবি করেছে এবং অর্থনৈতিক প্যাকেজের জন্য তীব্র দরকষাকষি চলছে। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদি শনিবার (৮ জুন) বলেছেন, মন্ত্রণালয় বণ্টনের ব্যাপারে তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

 দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মতে, কতজন মন্ত্রী শপথ নেবেন সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত নেই। তবে কমপক্ষে ৩০ সদস্যের শক্তিশালী মন্ত্রিসভা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আঞ্চলিক চারটি দলের সমর্থন বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছানোর জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দলগুলো হলো: এন চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপি, যারা ১৬ আসন জিতেছে, নীতীশ কুমারের জেডিইউ যারা ১২টি আসন পেয়েছে, একনাথ শিন্ডের শিবসেনা ৭টি আসন এবং চিরাগ পাসোয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি-রাম বিলাস ৫টি আসন।

টিডিপি ও জেডিইউর পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবসেনা গোষ্ঠী ও চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপিও মোদির নতুন মন্ত্রিসভার প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।

অনেক বিজেপি নেতা নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার আশা করছেন। মোদি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে বাদ দেয়ার কথাও বিজেপি ভাবছে বলে জানা গেছে।

গত মেয়াদে মন্ত্রিত্ব সামলেছেন এমন অন্তত ১৫ জন এবার লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেছেন। এই তালিকায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। নতুন মন্ত্রিসভা থেকে তাদেরকে বাদ দেয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।