প্রকাশিত : বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

Share This News

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবি, যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবি, যা বলছেন সংশ্লিষ্টরা

বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি), মাদ্রাসা ও কারিগরি পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে গত ২০ জুন। তবে সিলেট বিভাগে পরীক্ষা পেছালেও অন্যান্য বিভাগগুলোতে ৩০ জুন থেকেই পরীক্ষা শুরুর কথা জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। 

এদিকে পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এইচএসসির ক্লাস শুরু করে এখন ২০২৪ সালের জুনে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি পরীক্ষা অন্তত দুমাস পিছিয়ে ৩১ আগস্ট নিতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, এইচএসসি-২৪ ব্যাচের ক্লাস শুরু হয় ২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। শ্রেণি কার্যক্রম হয় মাত্র এক বছর। যেখানে সেইম সিলেবাসে ২২ ও ২৩ ব্যাচ সময় পায় যথাক্রমে ২৪ ও ১৮ মাস। ২৪ ব্যাচ এই সময়টুকু পায়নি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সাথে কেন এমন ব্যাচ বৈষম্য হবে? এরপর আসে তীব্র দাবদাহ, লোডশেডিং, ঘূর্ণিঝড়। উপকূলীয় এলাকার অনেক শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে চিঠি দয়ে এমনকি অনশনও করে। কিন্তু কারও কোন ভ্রূক্ষেপ নাই। বর্তমানে নেত্রকোণা, লালমনিরহাট, গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বন্যা ছিল। সিলেট বিভাগে পরীক্ষা স্থগিত হলেও এসব স্থানের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেই। আমরা চাই এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত আসুক।

তবে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার জানান, শিক্ষার্থীদের এমন দাবি ভিত্তিহীন, এটা মানার মত কোন যৌক্তিকতা নাই। পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। বোর্ড এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩০ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু করতে ইতোমধ্যে সকল প্রকার কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। শিক্ষার্থীদের উচিত অযথা সময় নষ্ট না করে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়া। 

এদিকে সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে সকল বোর্ডের পরীক্ষা দুই মাস পেছাতে মঙ্গলবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন এইচএসসি-২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের পক্ষে এই স্মারকলিপি জমা দেন ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী মাইশা মাহফুজ স্নেহা। এসময় বিভিন্ন কলেজের পরীক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন। 

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর  দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আসন্ন  পরীক্ষা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই পত্রের মাধ্যমে আমাদের দাবির স্বপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করছি এবং আপনার সদয় বিবেচনা কামনা করছি।