প্রকাশিত : রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

Share This News

‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চলবেই’

‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চলবেই’

সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) কোটা বহালের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আজ ‘বাংলা ব্লকেড’ শীর্ষক ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট বা অবরোধ কর্মসূচি চলবেই বলে জানিয়েছেন তারা।

রোববার (৭ জুলাই) রাত ৮টায় শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচির শেষে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘট চলবে। একই সঙ্গে, সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি চলবে। আজকে শাহবাগ থেকে বাংলামটর পর্যন্ত অবরোধ গিয়েছে কালকে ফার্মগেট পর্যন্ত যাবে।

তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে শহর থেকে শহরে। আগামী দিনে এটা আরও ছড়িয়ে পড়বে। আমরা সংবিধানের সকল নাগরিকের সমান অধিকার আদায়ে লড়াই করছি। আমাদের আদালত দেখালে আমরা সংবিধান দেখাব। আমাদের আদালতের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলা হচ্ছে। আমরা ৫০ বছর অপেক্ষা করেছি। আর কত? শিক্ষার্থীদের পিঠ দেয়ালে লেগে গেছে। হয় কোটা দূর করতে হবে, নয়তোবা পুরো বাংলাদেশকে শতভাগ কোটার আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এতদিন আমরা চার দফা নিয়ে আন্দোলন করেছি। আজ থেকে আমরা এক দফা নিয়ে আন্দোলন করব। আর সেটি হলো সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যে কোটা রয়েছে সেটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাশ করতে হবে।

এর আগে, সন্ধ্যা ৭টায় কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আল ইসলাম আন্দোলনের তিন সমন্বয়কের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকের কথা জানান। তখন তিনি বলেন, আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর মহল। তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমরা শাহবাগে অবস্থান করব।