প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪

Share This News

গ্যাস কমায় জ্বলছে না চুলা, বেড়েছে লোডশেডিং

গ্যাস কমায় জ্বলছে না চুলা, বেড়েছে লোডশেডিং

প্রায় দেড় মাস ধরে একটি টার্মিনাল বন্ধ থাকায়  তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ কম। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে এক দুর্ঘটনায় পাইপলাইন ছিদ্র হয়ে গেছে। এতে এলএনজি সরবরাহ আরও কমে গেছে। গ্যাস-সংকটে পড়েছে শিল্প, আবাসিক ও বিদ্যুৎ খাত। একাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। দেশে গতকাল বুধবার বেড়ে গেছে লোডশেডিং।

এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন আবাসিকের গ্রাহকরা। দিনের খুব কম সময়ই লাইনে রান্নার জন্য গ্যাস পাওয়া যায়। এমন অনেক এলাকা আছে যেখানে সারাদিনও রান্নার মতো পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া যায় না।

গত দুই সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় গ্যাস সংকটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেসব এলাকায় আগে পাওয়া যেত সেসব এলাকায়ও গত দুই সপ্তাহ ধরে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় দিনের বেলায় গ্যাস মিললেও নিভু নিভু করে জ্বলে চুলা। আবার বিনা ঘোষণায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাও নিয়মিত হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে নতুবা এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে মাসের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় ঢাকার বাইরে কয়েক ঘণ্টা করে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।

দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে ৩০০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনালের মাধ্যমে এলএনজি থেকে আসে ১১০ কোটি ঘনফুট। এখন সরবরাহ হচ্ছে ২৫ কোটি ঘনফুট। এতে দিনে এখন গ্যাস সরবরাহ নেমে এসেছে ২২৫ কোটি ঘনফুটে।

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) সূত্র বলছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কবলে পড়ে গত ২৭ মে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বন্ধ হয়ে যায় সামিটের টার্মিনাল। এতে ৫০ কোটি ঘনফুট সরবরাহ কমে যায়। এটি থেকে এ মাসের মাঝামাঝি পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু হতে পারে। 

চট্টগ্রামের আনোয়ারা এলাকায় একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঠিকাদারি সংস্থার পক্ষ থেকে মাটি পরীক্ষার জন্য খোঁড়াখুঁড়ির সময় আনোয়ারা-ফৌজদারহাট লাইনে ছিদ্র হয়। এতে এ পাইপলাইনে এলএনজি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাস সঞ্চালনের সংস্থা গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) প্রকৌশলীরা এটি মেরামতে কাজ করছেন।

পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন ও মাইনস) মো. কামরুজ্জামান খান বলেন, পাইপলাইনে ত্রুটির কারণে গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে। এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না, তবে পাইপলাইন মেরামত করতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে।