প্রকাশিত : শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

Share This News

সংরক্ষিত আসনে ইমরান খানের পিটিআইয়ের বড় জয়

সংরক্ষিত আসনে ইমরান খানের পিটিআইয়ের বড় জয়

পাকিস্তানের জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত আসনের ভাগাভাগি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে সুপ্রিম কোর্টে বড় জয় পেয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। সংরক্ষিত আসনের জন্য পিটিআইকে যোগ্য বলে রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।

শুক্রবার (১২ জুলাই) এক আদেশে পিটিআই পার্লামেন্টে সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য বলে ঘোষণা দেয় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়কে ক্ষমতাসীন সরকারের জন্য বিরাট বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

১৩ সদস্যের একটি বেঞ্চ পিটিআইয়ের পক্ষে এই রায় দেয়। রায়ে আটজন বিচারক পিটিআইয়ের পক্ষে মত দিয়েছেন। বিপক্ষে ছিলেন পাঁচজন। রায়ে বিচারক বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে পিটিআই সংরক্ষিত আসন পাওয়ার যোগ্য।

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে আসনসংখ্যা ৩৩৬টি। নির্বাচন আইন অনুযায়ী এর মধ্যে ৬০টি নারী ও ১০টি মুসলিম নন এমন সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত। নির্বাচন শেষে এসব আসন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তাদের নির্বাচনী পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে ভাগ করে দেয়া হয়। কিন্তু পিটিআইকে বঞ্চিত করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

কারণ তখন পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, সংরক্ষিত আসনগুলো শুধু রাজনৈতিক দলের জন্য নির্ধারিত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় প্রতীক না পাওয়ায় ওই নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন পিটিআই নেতারা। আর সেভাবেই অন্তত ৯২টি আসন জিতেছিল। পরে তারা পিটিআই সমর্থিত সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দেন। তারপরও সংরক্ষিত আসন পায়নি পিটিআই। পরে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করে এসআইসি।

শুক্রবার এই মামলার রায় দেয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। রায়ে সুপ্রিম কোর্ট পিটিআইকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। একই সঙ্গে আদালত নিশ্চিত করেছে যে নির্বাচনী প্রতীক না থাকলেও নির্বাচনে কোনো দলের প্রার্থী দেওয়ার যে আইনি ক্ষমতা তার পরিবর্তন হবে না। এর ফলে পিটিআই সংরক্ষিত ২৩ আসন পাবে। পিটিআইকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীদের নামের তালিকা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

যদিও পিটিআই ২৩টি সংরক্ষিত আসন পাওয়ায় পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের জোট সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় কোনও পরিবর্তন আসবে না। তবে এতে দেশটির দুর্বল জোট সরকার আরও চাপে পড়বে।