প্রকাশিত : শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

Share This News

এরদোগানের নতুন মন্ত্রিসভায় সুযোগ পেলেন যারা

এরদোগানের নতুন মন্ত্রিসভায় সুযোগ পেলেন যারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান তার নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন। তার মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন সাবেক অর্থনীতি বিভাগের প্রধান এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত সাবেক ব্যাংকার মেহমেত সিমসেক। 

শনিবার সন্ধ্যায় তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন এরদোগান। এর পরই তিনি নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন। এতে স্বাস্থ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর পদে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। খবর আলজাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮ সদস্যের মন্ত্রিসভায় তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সেভডেত ইলমাজ। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হাকান ফিদান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন আলী ইয়ারলিকায়া। অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মেহমেত সিমসেক। 

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ইয়াসার গুলার, তিনি তুরস্কের চিফ অব জেনারেল স্টাফ। শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব পেয়েছেন ইউসুফ তেকিন। আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ইলমাজ তুনশি। পরিবার ও সমাজসেবামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মাহিনুর ওজদেমি। যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ওসমান আসকিন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ফাহরেত্তিন কোচা, তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ ছাড়া সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মেহমেত নুরি ইরসয়। শিল্প ও প্রযুক্তিমন্ত্রী হয়েছে মেহমেত ফাতিহ কাসির, কৃষি ও বনমন্ত্রী হয়েছে ইব্রাহিম ইয়ামাকলি, বাণিজ্যমন্ত্রী হয়েছেন ওমন বোলাত, পরিবহণ ও অবকাঠামো মন্ত্রী হয়েছেন আব্দুল কাদির উরাগলু।

অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া সিমসেক যখন ২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তুরস্কের অর্থমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। এখন তার মূল ভূমিকা হতে পারে, বছরের পর বছর ধরে চলা নীতি থেকে বের হয়ে এসে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও সুদের হার কমিয়ে আনা ও বাজারের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের হাতে নিয়ে আসা।

গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটে তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগান এগিয়ে থাকলেও নির্বাচিত হতে ব্যর্থ হন। দেশটির নির্বাচনের নিয়মানুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হতে হলে ৫০ শতাংশ সমর্থন পেতে হয়৷ প্রথম দফার নির্বাচনে এরদোগান পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট৷ অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল পান ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। ফলে স্থানীয় নিয়মানুযায়ী দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়।

২৮ মে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ৫২ দশমিক ১২ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন এরদোগান। অন্যদিকে কামাল পান ৪৭ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। ফলে তৃতীয় দফায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন এরদোগান।