প্রকাশিত : শনিবার, ১০ আগস্ট ২০২৪

Share This News

বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি: রেজুয়ান আহম্মেদ

বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি: রেজুয়ান আহম্মেদ

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার একটি ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) উভয় বাজারেই সূচক বৃদ্ধি এবং লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। শেয়ার বাজারের এই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বেশ কিছু মৌলিক ও ভূমিকম্পিত কারণের ফলস্বরূপ:

১. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা: দেশের অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা বাজারে আস্থা রাখতে শুরু করেছে।

২. সরকারি উদ্যোগ: সরকারের বিভিন্ন সহায়ক নীতি ও প্রণোদনার ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য সুবিধা সৃষ্টি হয়েছে।

৩. ব্যাংক সুদের হার: ব্যাংক সুদের হার কম থাকায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারের দিকে ঝুঁকছেন।

শেয়ার বাজারের ইতিবাচক পরিস্থিতি কতদিন থাকতে পারে? 

১. অর্থনৈতিক সূচকগুলোর পরিবর্তন:

বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রভাব শেয়ার বাজারের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বা দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক সংকট শেয়ার বাজারের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

২. সরকারী নীতিমালা:

সরকারের নীতি ও উদ্যোগ শেয়ার বাজারের স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদি সরকারের নীতি বিনিয়োগবান্ধব থাকে এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তবে বাজারের ভালো পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।

৩. বৈদেশিক বিনিয়োগ:

বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও বিনিয়োগ শেয়ার বাজারের স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রবাহ যদি বৃদ্ধি পায়, তবে বাজারের ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি বজায় থাকতে পারে।

৪. বাজারের অবকাঠামো:

শেয়ার বাজারের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বাজারের কার্যকারিতা ও স্বচ্ছতায় সহায়ক। বাজারের স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি আগ্রহী হবে।

৫. বৈশ্বিক প্রভাব:

বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি, বৈশ্বিক সঙ্কট, অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাজারের পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারে।

উপসংহার 

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শেয়ার বাজার একটি ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে, তবে এর স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক প্রভাবের ওপর। সরকারের কার্যকরী নীতি, বৈদেশিক বিনিয়োগ, এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বাজারের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ ও প্রাসঙ্গিক সমীক্ষার মাধ্যমে বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব।

 

 

রেজুয়ান আহম্মেদ

কলামিস্ট, বিশ্লেষক; সম্পাদক অর্থনীতি ডটকম