রান্নাঘর পরিষ্কার রাখা ভীষণ ঝামেলার। তেল বা হলুদ তো আছেই আরও অনেক দাগ পড়ে রান্নাঘরে। খাবার গরম করার মাইক্রোওভেনটিকেও বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। রান্নার কাজে ওভেনের ওপর নির্ভরশীল অনেকেই। আধুনিক জীবনযাপনে সময় বাঁচাতে ও নির্বিঘ্নে রান্না করার জন্য ওভেনের জুড়ি নেই। তবে এই ওভেনেরও চাই সঠিক যত্ন।
যে সব বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে:
১. খুব কম বা বেশি ভোল্টেজে ওভেন চালাবেন না। বিদ্যুতের হঠাৎ আসা-যাওয়ায় অনেক সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে ওভেন। তাই সম্ভব হলে প্রটেক্টর লাগিয়ে নিন এবং ভালো মানের মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করুন। ভোল্টেজ ওঠা-নামা করলে ওভেনটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই ভোল্টেজ স্টেবিলাইজার ব্যবহার করুন।
২. ওভেনে ওভেনপ্রুফ পাত্র ব্যবহার করতে হবে। ধাতব বাসন কখনোই ওভেনের ভেতর দেবেন না। ব্যবহারের আগে ওভেনটি কিছুক্ষণ চালিয়ে নিন।
৩. ওভেন সব সময় কাঠের টেবিলের ওপর রাখবেন। তবে টেবিল যেন বেশি উঁচু না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
৪. পাত্রে অতিরিক্ত খাবার নেবেন না। খাবারের টুকরাগুলো একই আকৃতির হওয়া উচিত। ওভেন থেকে পাত্র বের করার সময় হাতে গ্লাভস পরে নেবেন।
৫. পাত্র ও খাবার খুব সাবধানে রাখবেন যেন ওভেনের গায়ে লেগে না যায়। সব সময় খাদ্যদ্রব্য ঢেকে দেবেন।
৬. খাদ্যের ধরন অনুযায়ী গরম করার জন্য সময় নির্ধারণ করুন। স্ট্যান্ডিং টাইমের পরও রান্না না হলে আবার অল্প সময়ের জন্য দিন ওভেনে। তবে প্রথমে কম সময় নির্ধারণ করে দেওয়াই ভালো।
৭. ওভেনে রান্না করতে বেশি তেল লাগে না। তাই ডুবোতেলে কিছু রান্না করতে যাবেন না। তেল গরম হয়ে এদিক-ওদিক ছিটে ওভেনের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে।
৮. গরম অবস্থায় কখনও ভেতরে খালি হাত ঢোকাবেন না। গরম পাত্র ধরতে মোটা ও ভারী গ্লাভস ব্যবহার করুন। কাজ শেষ হলে ওভেনের বৈদ্যুতিক সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে ফেলুন।
৯. প্রতিবার ব্যবহারের পর ওভেনের ভেতরটা পরিষ্কার করতে হবে। না হলে দুর্গন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে অবশ্যই ঠাণ্ডা হওয়ার পর পরিষ্কার করবেন। মাঝে মধ্যে ওভেনের গ্রিলগুলো বের করে পাতলা কাপড় দিয়ে মুছে রাখুন।
১০. ওভেনের ভেতরে দুর্গন্ধ হয়ে গেলে এক কাপ পানিতে এক চা চামচ লেবুর রস বা সিরকা মিশিয়ে এক মিনিট উচ্চ তাপে গরম করে নিন। প্রয়োজনে সপ্তাহে একদিন ট্রে বের করে নিন। তারপর সাবান গোলানো পানিতে স্পঞ্জ বা সুতি কাপড় দিয়ে মুছে পরিষ্কার করুন।