প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

Share This News

মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশনের নামে শতকোটি টাকা হাতিয়েছেন শহীদুল

মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশনের নামে শতকোটি টাকা হাতিয়েছেন শহীদুল

পুলিশের চেইন অব কমান্ড ধ্বংস হয়েছে সিনিয়র তিন কর্মকর্তার ‘ফাউন্ডেশন’-এর নামে নজরানা আদায়ের চাঁদাবাজির ব্যবসায়। সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের যোগদানের পর তার মা-বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনে নজরানার নামে ঘুস নেওয়ার প্রথা চালু হয়।

সাবেক এই আইজিপি মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশনের নামে শতকোটি টাকা আদায় করেন পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকেই। সেই টাকায় বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হন তিনি। শরীয়তপুরে নড়িয়া উপজেলার নরকলিকাতা গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বেনজীর আহমেদ আধুনিক পুলিশবাহিনী গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ঘুস বাণিজ্যের অর্থ গলা পর্যন্ত গিলে সৎ অফিসারের তকমা পরেন। আর পদ্মার এপার-ওপার পৃথক্করণের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করে গোটা পুলিশবাহিনীর মেরুদণ্ড ভেঙেছেন সদ্য বিদায়ি ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ মেরূকরণের সদস্য শতাধিক কর্মকর্তা আঙুল ফুলে গলাগাছ বনে গেছেন। তাদের কপাল পুড়ছে শেখ হাসিনার পতনের পর। তথ্যানুসন্ধানে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।

শহীদুল হক ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের আইজি ছিলেন। আইজিপি থাকাবস্থায় তিনি মিরপুর শহিদ স্মৃতি পুলিশ কলেজ থেকেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা লোপাট করে মজিদ-জরিনা ফাউন্ডেশনে নিয়ে যান।

পুলিশের একটি বিশেষ গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত সিনিয়র একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশে যে বৈষম্য ও লাগামহীন দুর্নীতির যাত্রা শুরু হয় যাদের কারণে, তারা আজ বাহিনীতে নেই। কিন্তু প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাসের সুশৃঙ্খল কাঠামোকে ধ্বংস করে তারা বিদায় নিয়েছেন। পুলিশের পদ-পদবি ব্যবহার করে কামিয়েছেন শত শত কোটি টাকা, যা আজ তাদের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।