প্রকাশিত : সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৩

Share This News

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের বিস্তার ঠেকাতে আরব রাষ্ট্রগুলো সংকল্পবদ্ধ: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের বিস্তার ঠেকাতে আরব রাষ্ট্রগুলো সংকল্পবদ্ধ: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আজ সোমবার আবারও ইসরায়েলে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন । কয়েক দিন ধরে কয়েকটি আরব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার পর আবার ইসরায়েলে ফিরছেন তিনি।

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ যেন আঞ্চলিকভাবে ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে আরব দেশগুলোর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে গাজায় টানা বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিকে গত বৃহস্পতিবার অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েলে পৌঁছান। ইসরায়েল থেকে ব্লিঙ্কেন পরে কাতার, জর্ডান, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং মিসর সফরে যান। এসব দেশ সফর শেষে আজ আবারও ইসরায়েলে ফিরছেন তিনি।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের আঞ্চলিক যুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরআবদুল্লাহিয়ান গতকাল রোববার এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, অঞ্চলের সব পক্ষ বন্দুকের ট্রিগারে হাত দিয়ে রেখেছে।

কায়রো ছাড়ার আগে ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যে দেশগুলোয় গিয়েছি, তারা সবাই একটি ব্যাপারে সংকল্পবদ্ধ যে সংঘাত যেন ছড়াতে না পারে। এমন কিছু যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে তারা তাদের নিজস্ব প্রভাব, নিজস্ব সম্পর্কগুলোর ব্যবহার করছে।’

গতকাল রিয়াদে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমানের সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের সাক্ষাৎ হয়। এরপর কায়রোতে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। হামাসের হামলাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল গাজার মানুষদের ওপর যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা নিয়ে ক্ষোভ জানান সিসি। তিনি ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন, ইসরায়েল যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তাতে গাজার মানুষ আত্মরক্ষার অধিকারটুকু পায়নি। কোনো বিচার-বিবেচনা না করে গাজার মানুষকে গণহারে সাজা দিয়েছে তারা।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত যেন না ছড়াতে পারে, বিশেষ করে লেবাননে যেন যুদ্ধ শুরু না হয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে জোরেশোরে আন্তর্জাতিক কূটনীতি চলছে; বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে থামাতে চাইছে। ফিলিস্তিনের হামাস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর প্রতি ইরানের সমর্থন আছে। গত সপ্তাহে লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনী এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে গোলাগুলিও হয়েছে।