প্রকাশিত : শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩

Share This News

গাজা ইস্যুতে ‘আশার কথা’ শোনালেন এরদোগান

গাজা ইস্যুতে ‘আশার কথা’ শোনালেন এরদোগান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন অবরুদ্ধ গাজা সংকট সমাধানের ব্যাপারে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় আঙ্কারা 'ইতিবাচক সংকেত' পেয়েছে ।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম হুরিয়াত ডেইলি জানিয়েছে, উজবেকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরে শুক্রবার রাজধানী আঙ্কারায় কথা বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এ সময় গাজা সংকট সমাধানে তার দেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সম্পর্কেও বক্তব্য রাখেন তিনি।

খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তুর্কি নেতা বলেন, আমরা যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় ‘সবুজ সংকেত’ পেয়েছি।

এরদোগান আরও বলেন, গাজা থেকে আহতদের স্থানান্তর করার জন্য একটি করিডোর খোলারও চেষ্টা চালিয়েছে তুরস্ক। ওই প্রচেষ্টার ব্যাপারেও ইতিবাচক সংকেত পেয়েছে আঙ্কারা। 

তিনি বলেন, করিডোর খোলার বিষয়টি শুধু মানবিক ত্রাণ স্থানান্তরের জন্যই নয়। আমরা নিপীড়িত ও আহত ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের নিশ্চয়তা দিতে ইসরাইলের ওপর চাপ বাড়াতে চাই।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বেসামরিক বন্দিদের আটক রাখতে চায় না। সুতরাং ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিদের পারস্পরিক মুক্তির একটা প্রক্রিয়া খুবই প্রয়োজন।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের এ হামলা থেকে মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের ঘরবাড়িসহ গাজার কোনো অবকাঠামো বাদ যাচ্ছে না। গত এক মাসে এ হামলায় গাজা ও পশ্চিমতীরে স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রগুলোর ওপর ২৫০টিরও বেশি এবং ইসরাইলে ২৫টি হামলা হয়েছে। এতে জাতিসংঘের ১০০-এর বেশি কর্মী নিহত হয়েছেন।

দখলদার ইরাইলের বর্বর এ হামলায় ইতোমধ্যে নিহতের সংখ্যা প্রায় ১২ হাজারে পৌঁছেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনির মধ্যে সাড়ে চার হাজারের বেশিই শিশু। ভয়াবহ হামলা অব্যাহত থাকার কারণে ভেঙ্গে পড়েছে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা।