প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

Share This News

৩৩৫টি ইসরাইলি সামরিক যান ধ্বংস করার দাবি হামাসের

৩৩৫টি ইসরাইলি সামরিক যান ধ্বংস করার দাবি হামাসের

ইহুদিবাদী, দখলদার ইসরাইলের ৩৩৫টি সামরিক যান ধ্বংস করার দাবি করেছে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। হামাসের সশস্ত্র শাখার আল-কাসসাম বিগ্রেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এ দাবি করে বলেছেন, গাজায় ইসরাইল স্থল হামলা শুরু করার পর এসব যান ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি যত দিন প্রয়োজন তত দিন 'শত্রুর' মোকাবেলা তার যোদ্ধারা প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেছেন।

বৃহস্পতিবার ইসরাইল-হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পর তিনি এই দাবি করেন। স্থানীয় সময় আজ সকাল ৭টা থেকে ওই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

আবু ওবায়দা বলেন, গত ৭২ ঘণ্টায় আরো ৩৩টি যান টার্গেট এবং ধ্বংস করা হয়েছে। তিনি বলেন, বেইত হানুনে তাদের যোদ্ধারা ইসরাইলি পদাতিক সৈন্যদের ওপর 'কয়েক ডজন' অভিযান পরিচালনা করেছে।

তিনি জানান, গত তিন দিনে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা 'বিশেষায়িত অভিযান' পরিচালনা করেছে। এর ফলে 'শত্রু বাহিনীতে' বিপুলসংখ্যক মৃত্যু ঘটেছে।

তিনি বলেন, শত্রুরা যতক্ষণ গাজায় হামলা চালাতে থাকবে, তাদের যোদ্ধারা ততক্ষণ তাদের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বাহিনীর সাথে প্রতিরোধ যুদ্ধ বাড়ানোর আহ্বানও জানান।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে স্পেন

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস জানিয়েছেন, তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে এবং ‘খুব স্বল্প সময়ে’ মানবিক যুদ্ধবিরতি হবে বলে তারা আশা করছেন।

স্প্যানিশ রেডিও স্টেশন আরএনই-এর সাক্ষাৎকারে আলবারেস বলেন, একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য সর্বোত্তম গ্যারান্টি হবে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রুর সাথে বৃহস্পতিবার ইসরাইল ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ভ্রমণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের একটি কবরস্থানে বুধবার একটি গণকবরে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়েছে। নীল টারপলিনে মোড়ানো লাশগুলোকে স্ট্রেচারে করে নামানো হয়। লাশগুলো বালুকাময় গর্তে ধীরে ধীরে দাফন করা হয়। কিছু কবর শিশুদের জন্যও খনন করা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জরুরি কমিটির বাসেম দাবাবেশ এএফপি’কে জানান, ‘এই শহীদদের বিদায় জানানোর মতো কেউ নেই। তাই আমরা তাদের কবর দেয়ার জন্য একটি গণকবর খনন করেছি। তারা অজানা শহীদ।’

কবরস্থানের কমিটির সদস্যদের মতে উত্তর গাজা উপত্যকার ইন্দোনেশিয়া ও আল-শিফার হাসপাতালগুলো থেকে এসব বিপূল সংখ্যক লাশ বয়ে আনা হয়।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেন, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের প্রান্তে অবস্থিত ইসরাইলি বিমান হামলার শিকার ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালটি সোমবার আংশিক খালি করা হয়েছে।

সূত্র : আল-জাজিরা ও অন্যান্য