প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩

Share This News

গরুর মাংসের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর

গরুর মাংসের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর

আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে ঢাকা (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন এলাকায়  গরুর মাংসের কেজিপ্রতি ৬৫০ টাকা দাম কার্যকর হবে।

এ দাম চূড়ান্তভাবে নির্ধারিত হয় বুধবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের এক বৈঠকে ।

ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার মাংস বিক্রি হয়। কোরবানির ঈদে আরও ৭৫ হাজার কোটি টাকার পশু কেনাবেচা হয়। সব মিলিয়ে বছরে মোট দেড় লাখ কোটি টাকার ওপরে মাংসের ব্যবসা।’

তিনি আরও বলেন, ‘শর্তসহ ৬৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হবে। এক কেজি মাংসে ৭৫০ গ্রাম মাংস, ২০০ গ্রাম হাড় ও ৫০ গ্রাম চর্বি থাকবে, যাতে কাউকে কিনে প্রতারিত হতে না হয়।’

মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, ‘সিটি করপোরেশন ২০১৯ সালে মাংসের দর ঠিক করে দেওয়া থেকে সরে আসে। সে বছর মাংসের দাম ৫০০ টাকা কেজি হয়ে যায়। এর পর প্রতিবছরই মাংসের দাম বেড়েছে। চলতি বছর এক কেজি মাংস কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে ৮০০ টাকা।’

মাংসের বাজারের বিশৃঙ্খলার জন্য নিজেদের দায়ী করে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোর্তজা মন্টু বলেন, ‘সারা দেশে এক দর নিশ্চিত করতে সময় লাগবে। তবে ঢাকায় (আজ) বৃহস্পতিবার থেকে আগামী ১ মাস অর্থাৎ ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬৫০ টাকা করে গরুর মাংস বিক্রি করা হবে। তারপর প্রতি মাসে দাম নির্ধারণ করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৬০০ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে। কারণ দেশি গরুর প্রতি মণ মাংসের দাম পড়ে ২৮ হাজার ও ফার্মের গরুর ক্ষেত্রে ২৫-২৬ হাজার টাকা। আমাদের কাছে ৬০ শতাংশ দেশি ও ৪০ শতাংশ ফার্মের গরু যোগান রয়েছে।’

বুধবার সন্ধ্যায় মালিবাগ বাজারে সরেজমিনে দেখা গেছে, সেখানে তখন কেজিপ্রতি গরুর মাংসের দাম ছিল ৭০০-৭৫০ টাকা। এ প্রসঙ্গে মাংস বিক্রেতা নাজমুল হোসেন বলেন, ‘মাংসের দাম নির্ধারণ করতে হলে সরকারকে গরুর দাম নির্ধারণ করে দিতে হবে। কেননা আমরা সস্তা গরু কিনতে না পারলে বিক্রি করবো কীভাবে। বর্তমানে প্রতি কেজি মাংস কিনতে হচ্ছে ৭০০ টাকা করে।’

সারা দেশে মাংসের দাম অভিন্ন হতে হবে বলে দাবি জানিয়ে আরেক ব্যবসায়ী সজীব বলেন, ‘দাম নির্ধারণ মাসভিত্তিক করতে হবে। কেননা একেক মাসে গরুর দাম বাড়ে ও কমে।’

এদিকে গরু আমদানির দাবি জানিয়ে খলিল বলেন, ‘বড় খামারিরা কোরবানি ছাড়া গরু বিক্রি করে না। কৃষকের গরুই আমাদের বিক্রি করতে হয়। তাই গরু আমদানি করলে দাম কমানো যাবে।’