প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

Share This News

ভারতীয় পার্লামেন্টে গ্যাস হামলার ছক!

ভারতীয় পার্লামেন্টে গ্যাস হামলার ছক!

ছক ছিল আগেই। বুধবার গোটা ভারত যে উদ্বেগের দৃশ্য দেখল, সেটা হয়তো দেখা যেত আগেই। সেইমতোই পরিকল্পনা করেছিলেন ভারতীয় পার্লামেন্টে গ্যাস হামলার চার হোতা। সব ঠিক থাকলে হয়তো 'বাদল' অধিবেশনেই এই হামলা চালানো হতো, কিন্তু তারা আটকে যান একটি জায়গায়।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে গ্রেফতার হওয়া সাগর শর্মা ও ডি মনোরঞ্জন এবং পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে গ্রেফতার হওয়া নীলম দেবী ও অমল শিণ্ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, তারা আগেই পার্লামেন্টে হামলার ছক কষেছিলেন। পার্লামেন্টের গত অধিবেশনে সভাকক্ষে ঢুকে হট্টগোল করার ছক কষেছিলেন তারা। সেই পরিকল্পনাও চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত পাস জোগাড় করতে না পারায় সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়নি। অনেক চেষ্টা করেও সেবার পাস চেষ্টা করতে পারেনি চার অভিযুক্ত।

পার্লামেন্টের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় উত্তাল গোটা ভারত। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, পার্লামেন্টের ভিতরে ঢুকেছিলেন মাইসুরুর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র সাগর শর্মা। তার সাথে ছিলেন মাইসুরুরই আর এক বাসিন্দা মনোরঞ্জন ডি। বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজনের মধ্যে একজন হরিয়ানার বাসিন্দা নীলম সিং। অপরজন মহারাষ্ট্রের অমল শিণ্ডে। ধৃতদের জেরার পাশাপাশি তাদের বাড়িতে গিয়েও তল্লাশি শুরু করে স্থানীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সকলের বিরুদ্ধেই কড়া সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

২০০১ সালে সংসদে হামলার বর্ষপূর্তির দিনই এমন ঘটনায় রাতারাতি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও দ্রুতই অভিযুক্তদের আটক করেন মার্শালরা। ওই অভিযুক্তরা পার্লামেন্টে প্রবেশের পাস জোগাড় করেন মাইসুরুর বিজেপি এমপিদের কাছ থেকেই। এদিকে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই আটজন নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার পথেই দায়িত্বে ছিলেন ওই আটজন।

চার অভিযুক্ত ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে

পার্লামেন্টে গ্যাস হামলার চার অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে সাত দিনের জন্য। জানা গিয়েছে, পার্লামেন্টে ভিতরে গ্রেফতার হওয়া সাগর শর্মা ও ডি মনোরঞ্জন এবং পার্লামেন্টের বাইরে গ্রেফতার হওয়া নীলম দেবী ও অমল শিণ্ডেকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গতকালের ঘটনায় সব মিলিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন