প্রকাশিত : শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০২৩

Share This News

সাবেক ছাত্রনেতা পূজনের বাসায় ‘ছাত্রলীগের’ হামলা

সাবেক ছাত্রনেতা পূজনের বাসায় ‘ছাত্রলীগের’ হামলা

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও সিলেট জজ কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) প্রবাল চৌধুরী পূজনের বাসায় হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ পূজনের।

বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে নগরের দাঁড়িয়াপাড়া এলাকার পূজনের বাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় পূজনের বাসায় ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। হামলায় পায়ে স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পূজন। জানা গেছে।

হামলার ঘটনার পর ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে পূজন লেখেন- ছাত্ররাজনীতির উপহার, ছাত্রলীগের রাজনীতির উপহার, পায়ে স্প্লিন্টার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে অ্যাডভোকেট পূজনের সমালোচনার জেরে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী মোটরসাইকেল করে রাতে দাড়িয়াপাড়া পয়েন্টে জড়ো হন। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পূজনের বাড়িতে ও দোকানে হামলা চালাযন। হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হামলার সময় পূজন বাসায় ছিলেন না। হামলার খবর শুনে তিনি বাসায় আসার পথে তাকে লক্ষ্য করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

পূজন অভিযোগ করে বলেন, সিলেট জেলা ও মহানগরের ছাত্রলীগের কমিটি এবং চিনি চোরাচালান নিয়ে তিনি ফেসবুকে কয়েকটি পোস্ট করেন। পরে দলের অভিভাবক ও ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের অনুরোধে তিনি পোস্টটি মুছে ফেলেন। এই পোস্টের জেরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে তার বাসায় হামলা চালানো হয়। হামলায় নেতৃত্ব দেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল আলম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমেদ, ছাত্রলীগ নেতা জিয়ান, রিফাতসহ কয়েক শ' নেতাকর্মী অংশ নেন বলে অভিযোগ তার।

পূজন জানান, হামলায় তিনি ডান পায়ে স্প্লিন্টারবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ জানান, তারা হামলার ঘটনা সম্পর্কে জানেন না। কেউ তাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ করে থাকলে তা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এ ঘটনায় সিলেট কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, হামলার ঘটনা এখন পর্যন্ত তারা জানেন না। তবে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটেছে। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে কেউ এ ব্যপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।