প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

Share This News

বৈশ্বিক বাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

বৈশ্বিক বাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

টানা তৃতীয় দিনের মতো আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। গতকাল বুধবার টানা তৃতীয় দিনের মতো বেড়েছে দাম।  যুক্তরাষ্ট্রে মজুদ প্রত্যাশা অনুযায়ী না বাড়ার কারণে বাজারদর ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছে। তাছাড়া দেশটিতে উত্তোলন কমার পূর্বাভাসও এক্ষেত্রে প্রভাব রেখেছে। খবর রয়টার্স। 

আইসিই ফিউচারস ইউরোপে অপরিশোধিত ‍জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিমূল্য ব্যারেলপ্রতি ২৬ সেন্ট বেড়ে ৭৮ ডলার ৮৫ সেন্টে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (নিমেক্স) মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ২৭ সেন্ট বেড়েছে। প্রতি ব্যারেলের মূল্য স্থির হয়েছে ৭৩ ডলার ৫৮ সেন্টে। 

আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের দেয়া তথ্যমতে, ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ বাড়ে ৬ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল। তবে আরো বেশি বাড়ার প্রত্যাশা ছিল বাজারসংশ্লিষ্টদের।

এদিকে চলতি বছরের জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন পূর্বাভাস সংশোধন করেছে মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ)। নতুন পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতিদিন ১ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল করে উত্তোলন বাড়বে, যা আগের পূর্বাভাসের তুলনায় দৈনিক ১ লাখ ২০ হাজার ব্যারেল কম। 

গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন ১ কোটি ৩৩ লাখ ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন হয়, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ। তবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির আগ পর্যন্ত উত্তোলন এ মাত্রা ছাড়াবে না বলে মনে করছে ইআইএ।

বিশ্ববাজারে দাম বাড়াতে গত বছর কয়েক দফায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রফতানি কমিয়েছে ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস। ফলে জ্বালানিটির বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) বলছে, উত্তোলন ও রফতানি কমানোর এ ধারা অব্যাহত থাকলেও চলতি বছর সরবরাহ উদ্বৃত্তে ফিরবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের সরবরাহ চাহিদাকে ছাড়িয়ে যাবে। ওপেক ও সহযোগী দেশগুলো কমালেও যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলসহ জোটের বাইরের দেশগুলোয় উত্তোলন বাড়বে লক্ষণীয় মাত্রায়, যা বৈশ্বিক সরবরাহ বাড়াতে প্রধান ভূমিকা রাখবে।

সংস্থাটি ভিন্ন একটি প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির গতি ছিল অনেক ধীর। চলতি বছর এ গতি আরো দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। ফিরে যেতে পারে নভেল করোনাভাইরাস মহামারী-পূর্ব ধারায়। গত বছর প্রতিদিন ২৩ লাখ ব্যারেল করে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছিল। এ বছর বাড়বে ১২ লাখ ব্যারেল করে। মোট দৈনিক চাহিদার পরিমাণ দাঁড়াবে ১০ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেলে।